মহিলারা ৩০ বছর বয়সের পরে অবশ্যই খাবেন যে উদ্ভিজ্জ খাবারগুলো - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 19 June 2023

মহিলারা ৩০ বছর বয়সের পরে অবশ্যই খাবেন যে উদ্ভিজ্জ খাবারগুলো


মহিলারা ৩০ বছর বয়সের পরে অবশ্যই খাবেন যে উদ্ভিজ্জ খাবারগুলো 

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৯ জুন: ৩০ বছর বয়সের পরে মানুষের শরীর ধীরে ধীরে কমজোরি হতে শুরু করে। এই বয়সে দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং স্বাস্থ্যকর বিপাক বজায় রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে এই বয়সে খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। বিশেষ করে মহিলাদের উচিৎ ৩০ বছর বয়সের পরে খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা।

মহিলারা তাদের খাদ্যতালিকায় উদ্ভিজ্জ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং উপকারী। উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপকারী বলে মনে করা হয়।

আজ আমরা এমন কিছু জিনিসের কথা বলছি, যা মহিলাদের  খাদ্যতালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এগুলো ৩০ বছর বয়সের পরেও মেটাবলিজম ভালো রাখতে সাহায্য করে।

অশ্বগন্ধা -

এই ভেষজে অগণিত ঔষধি উপাদান পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস, যা শরীরকে ফ্রি রাডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে।

স্পিরুলিনা -

স্পিরুলিনা একটি শৈবাল যা জলে পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ, ই, কে, বি১, বি২,বি৩, বি৬,বি৯(ফোলেট),বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড) পাশাপাশি ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। ভিটামিন বিপাক উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ওমেগা-৩ এবং ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টকে শক্তিশালী করতে সহায়ক।

জিঙ্কেগো বিলোবা -

বিশ্বের প্রাচীনতম গাছগুলির মধ্যে এটি একটি। এটি  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং রক্ত ​​​​প্রবাহ উন্নত করে। জিঙ্কেগোতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।

জিনসেং -

জিনসেং-এর অ্যান্টি-টিউমার এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর শিকড় লিবিডোর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তির সাথে লড়াই করতে ও স্ট্রেসের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

ব্লু বেরি -

ব্লু বেরি সব ফলের মধ্যে সর্বোচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতার অধিকারী বলে পরিচিত। এটি শুধুমাত্র লিপিডোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ফ্লেক্স সিড -

ফ্লেক্স সিড বা শণ গাছের বীজ লিগনান সমৃদ্ধ, যা ফাইটোয়েস্ট্রোজেন এবং মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো। এটি ভিটামিন ই, কে, বি১, বি৩, বি৫ (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড), বি৬, বি৯(ফোলেট) এর পাশাপাশি মিনারেলেরও একটি ভাণ্ডার। ফ্লেক্স সিড মহিলাদের মাসিকের সময় ব্যথা এবং ক্র্যাম্পের মতো উপসর্গগুলি কমাতে সাহায্য করে।

মিল্ক  থিসল -

মিল্ক থিসল এমন একটি উদ্ভিদ যা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যদিও এর অন্যান্য অংশগুলি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। বীজগুলি লিভারের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলে এবং এটিকে ক্ষতি করতে পারে এমন পদার্থের শোষণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

মিল্ক থিসলের বীজে সিলিমারিন নামক একটি বায়োফ্ল্যাভোনয়েড কমপ্লেক্স থাকে এবং এটি সিরোসিস, জন্ডিস, হেপাটাইটিস, পিত্তথলির রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad