বৃষ্টির সঙ্গেই বজ্রপাত, রাজ্যে মৃত ৬ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 22 July 2023

বৃষ্টির সঙ্গেই বজ্রপাত, রাজ্যে মৃত ৬


বৃষ্টির সঙ্গেই বজ্রপাত, রাজ্যে মৃত ৬ 




নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ জুলাই, কলকাতা: রাজ্যের একাধিক জেলায় শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের এবং বজ্রপাতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩ জন, পুরুলিয়ার ২ জন এবং ময়নাগুড়ির ১ জন। পুরুলিয়ায় বজ্রপাতে আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। একদিনে এত মানুষের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চার-পাঁচজন শ্রমিক পাট ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিল। হঠাৎ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়, তাই তারা একটি তাল গাছের নিচে আশ্রয় নেয়, আর এটাই তাদের কাল হয়। সেই তাল গাছে বজ্রপাত হলে দুজনই ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকিদের কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর তারা বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদে্য মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুরের কালাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলসোরাপোতা গ্রামে।  পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে খোকন দোলই (৩৪) ও মমতা দোলই (৩০) রয়েছেন।


দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বান্দিপুর গ্রামে। তুলসী দেবী (৫৫) নামে এক মহিলা গরু চরাতে গিয়েছিলেন। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বজ্রপাত। তাতে আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে তুলসী দেবীকে গুরুতর অবস্থায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তুলসী দেবীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।


অপরদিকে পুরুলিয়ার বড়বাজার থানার অন্তর্গত বন্দি গ্রামের মাঠে প্রতিদিনের মতো বিকেলে ক্রিকেট খেলছিল লোকজন। সেই সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়  বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের জরাজীর্ণ বাড়িতে আশ্রয় নেন খেলোয়াড় ও দর্শকরা। এখানেই বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম পালানি মুর্মু (৫৫), সজল প্রামাণিক (১৮)৷  সজল খেলছিল। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। বন্দি গ্রামের বেলানির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সজলের বাড়ি রাজড়ি গ্রামে।


এছাড়াও ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির আমগুড়ি কন্যাবাড়ি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা যায়, ওই দিন জমিতে কাজ করছিলেন কৃষক নীরেন্দ্রনাথ অধিকারী (৫০)। এদিন হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। গুরুতর আহত নীরেন্দ্রনাথ অধিকারীকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। তার ছেলে পবিত্র অধিকারী জানান, আজ সকালে তার বাবা ক্ষেতে কাজে যান। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad