জানুন বাচ্চাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ দাদু দিদার সঙ্গে সময় কাটানো

 

জানুন বাচ্চাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ দাদু দিদার সঙ্গে সময় কাটানো 

 

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩০ জুলাই : ব্যস্ত  জীবনযাত্রার কারণে, আজকাল শিশুরা তাদের বাবা-মা এবং দাদু দিদার সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পায় না।  ছোটরা এখন তাদের পড়াশোনা, খেলাধুলো এবং গ্যাজেট নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে।  কিন্তু দাদু দিদার সঙ্গে সময় কাটানো শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  শিশুরা তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। চলুন জেনে নেই এর কারণ-

 রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য:

দাদু দিদার সঙ্গে সময় কাটালে ছোট শিশুরা তাদের পরিবার সম্পর্কে জানতে পারে।  তাদের রীতিনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। তাঁদের সঙ্গে থাকার মাধ্যমে শিশুরা উৎসব উদযাপনের পদ্ধতি এবং আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে জানতে পারে।

 সংস্কার :

 শিশুরাও দাদু -দিদার কাছ থেকে আদব-কায়দা শেখে।  যেমন বড়দের পা স্পর্শ করা, নমস্কার বলা, ঈশ্বরের কাছে নিয়মিত প্রার্থনা করা। ছোটরা তাদের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের ভিত্তি বোঝে।

 গল্প:

 দাদু দিদার কাছে শোনা গল্প ও কবিতাও শিশুদের ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে। এটি শিশুদের নৈতিক শিক্ষা দেয়।

 জিনিস শেয়ার :

 কিছু বিষয় আছে যা শিশুরা তাদের বাবা-মাকে বলতে পারে না।  কিন্তু সেসব কথা তারা দাদু দিদাকে বলতে দ্বিধাবোধ করে না।   এই জিনিসটি তাদের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।  এ কারণে শিশুরা যে কোনো কাজ খুব ভেবেচিন্তে করে।  এর সাহায্যে শিশুরা তাদের চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে সক্ষম হয় এবং চাপের মধ্যে থাকে না।

 একাকীত্ব চলে যায়:

 ছোট শিশুদের একাকীত্ব দূর হয়।  তারা মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।  তাদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।  বাবা-মা ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় সন্তানদের বেশি সময় দিতে পারেন না। তবে দাদু দিদা সেই শূন্যস্থান পূরণ করে।