ভাইরাল কাকি-ভাইপোর লাভ স্টোরি
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ জুলাই : ২০ বছর বয়সী ভাইপোর প্রেমে পড়লেন ৪০ বছর বয়সী কাকি। প্রায় তিন বছর ধরে দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। শনিবার স্বামী গ্রামে আপত্তিকর অবস্থায় দুজনকে একসঙ্গে ধরে, পঞ্চায়েত ডাকে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি বিহারের জামুইয়ের। দুজনেই পঞ্চায়েতে একসঙ্গে থাকতে রাজি হয়েছিলেন, যার কারণে দুজনেরই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রেমিকা কাকির সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেয় প্রেমিক ভাইপো। পরে দুজনকে এক সঙ্গে পাঠিয়ে দেন পঞ্চায়েত। ঘটনাটি টাউন থানা এলাকার লাখাপুর গ্রামে। মহিলার বিয়ে হয়েছিল ২০ বছর আগে। তার একটি ১০ বছরের ছেলেও রয়েছে।
লাখাপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রদেব পাসওয়ানের স্ত্রী রুবি দেবী (৪০), গত ৩ বছর ধরে তার ভাইপো পঙ্কজ পাসোয়ানের (২০) সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কাকি তিন বছর ধরে গোপনে ভাইপোর সঙ্গে দেখা করতেন জামুইতে, কখনও লক্ষীসরাইতে আবার কখনও অন্য জেলায়। স্ত্রীর কোথাও অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে স্বামী সন্দেহ করলেও তাকে ধরেননি। তাদের দুজনের বাড়ি একই গ্রামে কাছাকাছি ছিল। এখানে শনিবার রাতে প্রেমিক পঙ্কজের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ওই নারী। স্বামী ক্লু পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুজনকে ধরে ফেলে। পঙ্কজ পাসওয়ান এবং রুবি দেবী একে অপরের সাথে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সেই বিষয়ে পঞ্চায়েতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পঞ্চায়েত ডেকে বিয়ে হয়
স্বয়ং ইন্দ্রদেব পাসওয়ান পঞ্চায়েতের লোকদের মধ্যে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী রুবি দেবীকে তাঁর ভাইপোর সঙ্গে লালাপুর গ্রামের কালী মন্দিরে হিন্দু রীতি অনুসারে বিয়ে দেন। একই সঙ্গে বিয়ে করার ভিডিও তৈরি করে স্থানীয় লোকজন। বিয়ের পর স্থানীয় লোকজন টাউন থানার পুলিশকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায় এবং প্রেমিক জুটিকে গ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানায়। গভীর রাতে পুলিশ না আসায় পুরো গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যদিকে কাকি-ভাইপোর বিয়ের কারণে কিছু মানুষের মধ্যে ক্ষোভও দেখা গেছে। টাউন থানার সভাপতি রাজীব কুমার তিওয়ারি জানান, খবর পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment