লবঙ্গ চাষে আয়ের মুখ দেখবে কৃষক ভাইরা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক,১৪জুলাই : সম্প্রতি কেরালা ছাড়াও অনেক রাজ্যে বর্ষা এসেছে। আমরা ভাবি কৃষক ভাইয়েরা বর্ষায় শুধু ধান লাগান, কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। খরিফ মৌসুমে কৃষকরাও মশলা চাষ করেন। অনেক মশলা শুধুমাত্র বর্ষায় বপন করা হয়। চলুন জেনে নেই লবঙ্গ চাষের কথা, যা চাষ করে আয় হতে পারে-
লবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা। এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি এমন একটি ঔষধি মশলা, যা খালি পেটে খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। বিশেষ বিষয় হল লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়, যা হজমকারী এনজাইমের ক্ষরণ বাড়ায়। এ কারণে বাজারে সব সময় লবঙ্গের চাহিদা থাকে। কৃষক ভাইরা এই খরিফ মৌসুমে লবঙ্গ চাষ করলে ভালো লাভ করতে পারে।
পূজোতেও লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি এটি থেকে প্রসাধনীও তৈরি করা হয়। শীতের মৌসুমে লবঙ্গ খেলে ঠাণ্ডা, সর্দি ও মাথাব্যথার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এখন লবঙ্গের তৈরি টুথপেস্টও বাজারে আসতে শুরু করেছে। এক কথায় লবঙ্গ এমন একটি মশলা, যেখান থেকে অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধও তৈরি হয়।
লবঙ্গ গরম আবহাওয়া অঞ্চলে চাষ করা হয়। লবঙ্গ ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন অঞ্চলে এর চাষ বেশি হয়। লবঙ্গ চাষ করতে চাইলে এর বীজ একদিন আগে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পরে বীজের উপরের খোসা ছাড়িয়ে তারপর বপন করুন। এটি ১০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বপন করা হয়। সর্বদা তার জমিতে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করুন। পাঁচ বছর পর গাছে লবঙ্গের ফল আসতে শুরু করে।
লবঙ্গ আঙ্গুরের মতো গুচ্ছকারে জন্মে। এর রং লাল ও গোলাপি। এটি ফুল ফোটার আগে কাটা হয়। একটি গাছ থেকে ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত লবঙ্গ উৎপাদন করতে পারেন। বর্তমানে বাজারে এক কেজি লবঙ্গের দর প্রায় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। কৃষক ভাইরা যদি তাদের ক্ষেতে ১০০টি গাছ লাগান তাহলে তারা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment