মৌসাম্বি ফলের চাষে আয় প্রচুর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ জুলাই: আমাদের দেশে আপেল, ডালিম, পেয়ারা, আম এবং জাম সহ অনেক ধরনের ফল চাষ করা হয়। যার মধ্যে কিছু ফল হয় মৌসুমী, আবার কিছু ফল সারা বছর পাওয়া যায়। এই সব ফলের নিজস্ব স্বাদ আছে। সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় মৌসাম্বি ফল । মৌসাম্বি বেশিরভাগই রস আকারে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টি পাওয়া যায়। এ কারণেই চিকিৎসকরাও রোগীদের মৌসাম্বির রস পান করার পরামর্শ দেন।
মৌসাম্বিতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ফাইবার, কপার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়। মৌসাম্বির জুস পান করলে শরীর ভিতর থেকে শক্ত থাকে এবং মুখ উজ্জ্বল হয়। মৌসাম্বি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ কারণেই বাজারে এই ফলের সবসময় এর চাহিদা থাকে। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইয়েরা যদি মৌসাম্বি চাষ করেন তাহলে ভালো আয় করতে পারবেন।
মৌসাম্বি সাইট্রাস প্রজাতির একটি ফল। এটি দেখতে কমলার মতো। কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে এর চাষ হয় ব্যাপকভাবে। কিন্তু এখন বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যেও চাষিরা এর চাষ শুরু করেছেন। যেকোনও মাটিতে চাষ করা গেলেও তবে বেলে দোআঁশ মাটি ভালো। বন্যা সেচ পদ্ধতিতে সেচ দিলে গাছের বৃদ্ধি বাড়ে। গ্রীষ্মকালে, মৌসাম্বি ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে সেচ দিতে হয়।
মৌসাম্বির বিশেষত্ব হলো গাছ লাগানোর পর তৃতীয় বছর থেকে ফল আসা শুরু করে। পাঁচ বছর পর ফলন শুরু হয়। তারপর একটি গাছ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত মৌসাম্বি তুলতে পারেন। জমিতে ১০০টি গাছ লাগিয়ে থাকলে, তাহলে পাঁচ বছর পর সর্বোচ্চ ৫৯ কুইন্টাল ফলন পেতে পারেন। পোকামাকড় এড়াতে এতে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
No comments:
Post a Comment