বলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন এই অভিনেতা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৫ জুলাই : জনপ্রিয় বলি অভিনেতা জায়েদ খান, যিনি একসময় তার লুকের জন্য চলচ্চিত্র পেতেন, তিনি এখন নিজেকে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। চলুন জায়েদের জীবন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
১৯৮০ সালের ৫ই জুলাই মুম্বাইয়ে সঞ্জয় খান এবং জারিন খানের ঘরে জন্ম নেওয়া জায়েদ খান শৈশব থেকেই সিনেমার সমর্থন পেয়েছিলেন। তার বাবা সঞ্জয় খান তার সময়ের একজন সুপরিচিত প্রযোজক-পরিচালক এবং শিল্পী। হৃতিক রোশন তার প্রাক্তন জামাইবাবু এবং ফারদিন খান তার কাজিন ভাই। আসলে জায়েদ খানের আসল বোন সুজান খান। সব মিলিয়ে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্র ও অভিনয়ের পরিবেশ দেখেছেন জায়েদ। আর এই কারণেই জায়েদ সহজেই লন্ডন ফিল্ম একাডেমি থেকে ফিল্ম মেকিং কোর্স করার সুযোগ পান।
২০০৩ সালে, 'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে' ছবিটি মুক্তি পায়, যার কারণে জায়েদ খানের বলিউডে অভিষেক হয়। তবে বক্স অফিসে সফল হয়নি এই ছবি। বাবা সঞ্জয় খান ও ভাই ফারদিন খানের কারণেই জায়েদকে চেনা যায়। ২০০৪ সালে 'ম্যা হু না' চলচ্চিত্র থেকে জায়েদ এটি চরিত্র পান। এতে তিনি শাহরুখ খানের ভাই লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যার পরে লোকেরা জায়েদকে তার নামে চিনতে শুরু করে। তবে এই ছবির পর জায়েদের খাতায় তেমন সাফল্য আসেনি।
জায়েদ জানিয়েছিলেন, যখন 'ম্যা হু না' ছবির প্রস্তুতি চলছিল, তখন শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা হয় তার। তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'আমরা একটি ছবির জন্য সেকেন্ড লিড খুঁজছি। ফারাহ বলেন, এর জন্য তুমি ভালো থাকবে। তবে একটা কথা বলি ভাই, অভিনয় জানেন, তাই না?' জায়েদ বলেন, 'এই প্রশ্নে আমি বিচলিত হয়েছি। কিন্তু আমি বললাম হ্যাঁ ভাই আসে। অভিনয়ের জন্যই আমার জন্ম।
জায়েদ খান 'শাদি নম্বর ওয়ান', 'ভাদা', 'দশ', 'ফাইট ক্লাব', 'মিশন ইস্তাম্বুল' এবং 'যুবরাজ' সহ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে 'শরাফত গায়ে তেল লেনে 'ছবিতে। চলচ্চিত্রে সাফল্য না পেয়ে টিভিতে ঝুঁকে পড়েন জায়েদ। এরপর ‘হাসিল’ ধারাবাহিকে কাজ করেন। এবং কিছুদিন আগে 'হাঙ্গেরি উলফ এন্টারটেইনমেন্ট' নামে নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, জায়েদ খান ২০০৫ সালে তার ছোটবেলার বন্ধু মালাইকা পারেখকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুই ছেলে, জিদান ও আরিজ। জায়েদ তার বান্ধবীকে বিয়ের আগে চারবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলা হয়, মালাইকা আজ পর্যন্ত সেই সব আংটি রেখেছেন নিজের কাছে।
No comments:
Post a Comment