লাল ভেন্ডির দাম সবুজ ভেন্ডির চেয়ে বেশি কেন?
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক,৭জুলাই : ভেন্ডি উৎপাদনের নিরিখে আমাদের দেশের এক নম্বর রাজ্য হল বিহার। এখানে কৃষকরা সবুজ শাকসবজির মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ভেন্ডির চাষ করেন। দেশের মোট উৎপাদিত ভেন্ডির ১৩ শতাংশ বিহারে উৎপাদিত হয়। এখান থেকে অন্যান্য রাজ্যেও ভেন্ডি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এখন বিহারের কৃষকেরা লাল ভেন্ডির চাষও শুরু করেছেন। এমনকি এ ধরনের লাল ভেন্ডি বাজারে সাধারণ ভেন্ডির চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে । বাজারে সাধারণ ভেন্ডির ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও লাল ভেন্ডির দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, হাজিপুর নগরের চকওয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার লাল ভেন্ডি চাষ শুরু করে সকলের সামনে নজির স্থাপন করেছিলেন। বিশেষ বিষয় হল এই কৃষক সঞ্জীব কুমার কৃষিকাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষক ভাইরা কাশী লালিমা প্রজাতির লাল ভেন্ডি চাষ করলে ভাল ফলন পাবেন। কারণ বৈশালী জেলার মাটি এর জন্য উপযোগী।
লাল ভেন্ডির বিশেষত্ব হল সবুজ ভেন্ডির তুলনায় এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এটি খেলে ওজন কমে। এছাড়াও, চিনি এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কৃষকরা জুন-জুলাই মাসে এ ধরনের লাল ভেন্ডি বপন করতে পারেন। এর ফসল মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে তৈরি হয়। অর্থাৎ দু মাস পর লাল ভেন্ডি উৎপাদন শুরু হবে। এ ছাড়া কৃষকরা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেও লাল ভেন্ডি চাষ করতে পারেন।
সঞ্জীব কুমারের মতে, লাল ভেন্ডি ২ দিনের ব্যবধানে ছিঁড়ে ফেলা হয়। লাল ভেন্ডির পুরুত্ব ১.৬ সেমি এবং দৈর্ঘ্য ১৫ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। কৃষক ভাইয়েরা যদি লাল ভেন্ডি চাষ করতে চান, তাহলে জমিতে সঠিক জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং দোআঁশ মাটিতে এই ভেন্ডির ফলন সবচেয়ে ভালো হয়।
No comments:
Post a Comment