কালো ধান চাষের বাড়ছে চাহিদা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক,১৫জুলাই : বর্ষার এই ঋতুতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাসহ অনেক রাজ্যে কৃষকরা ধান চাষ শুরু করেছেন। কেউ বাসমতি ধান রোপণ করছেন, আবার কেউ মনসুরি ও হাইব্রিড জাতের নার্সারি তৈরি করছেন। ধানের মতো ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষে কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি হলেও সে তুলনায় লাভ নগণ্য বলে মনে করেন অনেক কৃষক। তবে এখন কৃষকদের আর চিন্তা করার দরকার নেই । কৃষক ভাইয়েরা যদি কালো ধান চাষ করেন, তাহলে তারা বেশি লাভ করতে পারবেন, কারণ এটি বাসমতির চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়।
এমনকি এই দিনগুলিতে এদেশে কালো চালের চাহিদা বেড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে অনেকেই কালো চাল খাচ্ছেন। বলা হয় কালো ভাত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি কালো চাল রক্তচাপের মতো রোগেরও ওষুধ। সব সময় কালো ভাত খেলে শরীর সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ে। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইয়েরা কালো ধান চাষ করলে ভালো আয় করা সম্ভব।
আসাম, সিকিম এবং মণিপুরে এই ধরনের কালো চালের বেশি চাষ হয়। তবে এখন মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের কৃষকরাও কালো ধান চাষ শুরু করেছেন। কালো চালকে ইংরেজিতে ব্ল্যাক রাইস বলা হয়। রান্নার পর কালো চালের রং বদলে যায়। তারপর এটি বেগুনি দেখাতে শুরু করে। এ ধরনের কালো ধানের চাষও সাধারণ ধানের মতোই করা হয়। কালো ধানের চাষ শুরু হয় চীনে। এরপর আসাম ও মণিপুরের কৃষকরা প্রথমে ভারতে এর চাষ শুরু করেন।
কালো ধান লাগানোর পর এর ফসল ১০০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে পাকে। এর গাছের দৈর্ঘ্য সাধারণ ধান গাছের চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে এর ধানের শীষও লম্বা হয়। কৃষক ভাইরা কালো ধান চাষ করলে তাদের আয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। এর খরচ অনেক বেশি। যেখানে বাজারে সাধারণ চাল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়, সেখানে এক কেজি কালো চালের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। যদি জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হয়, তাহলে তার হার দ্বিগুণ হয়।
No comments:
Post a Comment