উন্নত জাতের এই পেয়ারা চাষে হবেন লাভবান
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক,১৩জুলাই : সারা দেশে পেয়ারার চাষ হয়, কিন্তু এলাহাবাদী পেয়ারা তার স্বাদ ও গন্ধের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এটি দেখতে অবিকল আপেলের মতো। কথিত আছে, সম্রাট আকবরের সময় থেকেই এলাহাবাদী পেয়ারার চাষ হয়ে আসছে। এমতাবস্থায় এলাহাবাদী পেয়ারা চাষ করেই ভালো আয় করা যায় বলে মনে করলেও ব্যাপারটা এমন নয়। এমন অনেক জাতের পেয়ারারই আছে, যেগুলোর চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেই এর বিশেষ জাতগুলো সম্পর্কে-
পান্ত প্রভাত:
যখনই পেয়ারার সেরা জাতের কথা বলা হয়, তখনই প্রথমে আসে পান্ত প্রভাতের নাম। এটি পেয়ারার একটি খুব অনন্য জাত। এই জাতটি উদ্ভাবন করেছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পান্তনগর। এই ধরনের পেয়ারা পাকলে এর উপরের অংশ হলুদ হয়ে যায়। অথচ নিচের রং সাদা থাকে। পান্ত প্রভাত একটি গাছ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত পেয়ারা উৎপাদন করতে পারে।
শ্বেতা জাত:
শ্বেতাও পেয়ারার একটি বিশেষ জাত। এটি সিআইএসএইচ লখনউ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এ জাতের চাষ চাষিদের জন্য লাভজনক হবে। শ্বেতা জাতের পেয়ারা গাছের উচ্চতা কম। একটি ৬বছর বয়সী গাছ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত পেয়ারা তুলতে পারেন। এর একটি ফলের ওজন ২২৫ গ্রাম পর্যন্ত। এর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এর ফল অনেক দিন নষ্ট হয় না।
ললিত:
ললিত পেয়ারা একটি চমৎকার জাতের পেয়ারা । এটি সিআইএসএইচ লখনউ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এর ফলের ওজন ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এর রং জাফরান। তবে পেছনের রঙ গোলাপি। ৬ বছর বয়সী গাছ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত পেয়ারা তুলতে পারেন। পেয়ারা চাষে নিয়োজিত কৃষকদের জন্য এই জাতটি ভালো বলে বিবেচিত হয়।
থাই পেয়ারা:
থাই পেয়ারা একটি বিদেশী জাত। এর গাছে খুব অল্প সময়েই ফল ধরতে শুরু করে। এর পেয়ারার দাম বেশি। থাই পেয়ারা দ্রুত নষ্ট হয় না। এটি ১২ থেকে ১৩ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। ৪থেকে ৫বছর পর এর একটি গাছ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত ফল উৎপাদন শুরু হয়।
লখনউ-৪৯:
লখনউ-৪৯ জাতের পেয়ারা গাছ আকারে ছোট। তবে এর ফল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। এমনকি উৎপাদনের দিক থেকেও লখনউ-৪৯ পেয়ারা চমৎকার। এর একটি গাছ ১৩০ থেকে ১৫৫ কেজি পেয়ারা উৎপাদন করতে পারে।
No comments:
Post a Comment