গান শুনলে মানসিক চাপ কমে পশুদেরও, বলছে গবেষণা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ জুলাই : শুধুমাত্র মানুষই নয় পশুরাও গান উপভোগ করে। মানুষের মতো গবাদি পশুদেরও গান শোনা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। এটি তাদের সুস্থ রাখে এবং এটি তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। পশু চিকিৎসকরাও বলছেন, মানসিক চাপে থাকার কারণে গরু-মহিষের দুধ উৎপাদন কমে যায়। এমতাবস্থায় মানসিক চাপে থাকা গবাদি পশুদের মিউজিক থেরাপি দেওয়া তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে।
বিশেষ বিষয় হল, কর্নাল-ভিত্তিক ন্যাশনাল ডেইরি রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিউজিক থেরাপি নিয়ে প্রাণীদের উপর একটি অনন্য পরীক্ষা করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি অনেকাংশে সফল হয়েছে। বলা হচ্ছে গবাদি পশুতে অনেক ইতিবাচক উপসর্গ দেখা গেছে যেগুলিতে মিউজিক থেরাপি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিশেষ করে দুগ্ধজাত পশুর স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা আগের চেয়ে বেশি করে পশুখাদ্য খেতে শুরু করেছে। এ কারণে তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতাও বেড়েছে।
আসলে, জলবায়ু পরিবর্তন গবাদি পশুর স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলছে। এতে চাপের মুখে পড়ছে গবাদি পশু। এই কারণেই ন্যাশনাল ডেইরি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কর্নাল গরুকে স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে মিউজিক থেরাপি দিয়ে গবেষণা চালায়। এসময় বাঁশির শুর শোনানো হয় গাভীগুলো । সেই সঙ্গে শ্রুতিমধুর সঙ্গীতের সুরও শোনানো হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে এই কাজ করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দুগ্ধজাত গবাদিপশু গান শোনায়, তাদের স্বাস্থ্য আগের থেকে ভালো হয়ে যায়। আরও দুধ দিতে শুরু করে।
প্রবীণ প্রাণী বিজ্ঞানী ড. আশুতোষ বলেন, তিনি ছোটবেলায় শুনেছেন মানুষের মতো প্রাণীরাও গান-বাজনা শুনতে পছন্দ করে। আমরা গবাদি পশুর উপর পরীক্ষা করলে ইতিবাচক ফলাফল আসে। ডাঃ আশুতোষ বলেন, গানের তরঙ্গ গরুর মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন হরমোন সক্রিয় করে। এ কারণে গাভী বেশি দুধ দিতে শুরু করে। ডাঃ আশুতোষের মতে, গরু এক জায়গায় বেঁধে রাখলেও চাপ পড়ে। তাই সবসময় তাদের বাঁধার জায়গা বদলাতে থাকুন।
No comments:
Post a Comment