বর্ষাকালে ধান ছাড়াও রোপন করতে পারেন এই ধরণের ফসল
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯জুলাই : বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ প্রায় সব রাজ্যেই বর্ষা শুরু হয়েছে। কৃষকরা নিজেদের মতো করে খরিফ ফসল ফলানো প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কিছু রাজ্যে কৃষকরা ধান রোপণ করছেন, আবার কিছু রাজ্যে ভুট্টা, বাজরা এবং চীনাবাদাম বপন করা হচ্ছে। এ ধরনের ব্যক্তিরা মনে করেন, বর্ষার আগমনে বেশির ভাগ ধান চাষ করা হয় এবং সর্বোচ্চ লাভ হয়। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। ধান ছাড়াও এমন অনেক ফসল আছে, যেগুলো চাষ করে লাভ করা যায়।
বর্ষাকাল জুন থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। কৃষক ভাইরা জুলাই মাসে সবুজ শাকসবজি চাষ করলে ভাল আয় করতে পারে। আজ আমরা এমন তিনটি সবুজ সবজির কথা জানবো, যেগুলো চাষ করলে কৃষক ভাই বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।পাশাপাশি ফসলে পোকার আক্রমণও হবে না। এমতাবস্থায় কীটনাশকের খরচ থেকেও রেহাই পাবেন কৃষকরা। এই তিনটি সবজির নাম পালংশাক, ধনে ও বেগুন।
পালং শাক চাষ:
পালং শাক এমনই একটি সবজি, যা কৃষক ভাইয়েরা যেকোনও মৌসুমে চাষ করতে পারেন। তবে বর্ষায় চাষ করলে বেশি ফলন পাওয়া যায়। কৃষক ভাইয়েরা যদি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পালং শাক বপন করেন, তাহলে ৪০ দিনের মধ্যে এর ফসল পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। পাঁচ থেকে ছয় বার পালংশাক সংগ্রহ করা যাবে। এক একরে পালং শাক বপন করলে ১৫,০০০ টাকা খরচ হয়। যেখানে এক লাখ টাকার বেশি আয় হবে।
বেগুন চাষ:
খরিফ মৌসুমে বেগুন চাষও লাভজনক হবে। জুলাই মাসে বেগুনের চারা রোপণ করা যায়। এক একরে চাষ করলে সাত হাজার গাছ লাগানো যাবে।এর মাধ্যমে ১২০ কুইন্টাল পর্যন্ত বেগুনের উৎপাদন করা যাবে।
ধনে চাষ:
বাজারে ধনে চাষের চাহিদা সব সময়ই থাকে। এটি বেশিরভাগ শাকসবজি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর চাটনিও খেতে পছন্দ করেন অনেকে। এর বিশেষত্ব হল এর ফসল এক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। যদি এটি জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বপন করা হয়, তবে আগস্ট থেকে এর সবুজ পাতা ছিঁড়তে পারেন। এক একরে ধনে চাষ করলে ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও আয় হবে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment