এখানে বসবাস করলে মানুষের জৈবিক বয়স হয় কম
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২০ জুলাই : জীবনের আয়ু বাড়ানো যায় তা নিয়ে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। যার কারণে অনেক বিশেষজ্ঞ অমরত্বের কথা বলেছেন। অমরত্বের সূত্র এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে না পেলেও দীর্ঘায়ু পাওয়ার সহজ ও সুন্দর উপায় আবিষ্কৃত হয়েছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে সবুজ এলাকায় বসবাসকারী লোকেরা অনেক জৈবিক এবং আণবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যা তাদের জৈবিক বয়স কমায় এবং কালানুক্রমিক বয়স বৃদ্ধি করে। এই গবেষণার ফলাফলগুলি সায়েন্টিফিক অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
একজন ব্যক্তির জৈবিক বয়স নির্ভর করে সে কোন ধরনের জীবনধারা গ্রহণ করে তার উপর। জৈবিক বয়স বৃদ্ধি বা হ্রাস হতে পারে। জৈবিক বয়স কালানুক্রমিক বয়সের চেয়ে কম হলে মানুষ শীঘ্রই বুড়ো হয়ে যায়। বার্ধক্যজনিত সমস্ত রোগ তাদের আক্রান্ত করবে এবং মৃত্যুর সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জৈবিক বয়স যদি প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম হয়, তাহলে একজন ব্যক্তিকে অন্য মানুষের তুলনায় বেশি সময় তরুণ দেখায়। আগে এই বয়স কমাতে সবুজ ডায়েট ও ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবে শুধু খাদ্যদ্রব্য গ্রহণই নয়, সবুজ স্থানে বসবাস করলেও বয়স বাড়ে ।
এই গবেষণার জন্য আমেরিকার ৪টি শহর বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে দুটি ভিন্ন পরিবেশে বসবাসকারী মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দুই দশক ধরে প্রায় ৯০০ জনের উপর এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্যের উপর সবুজ পরিবেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কী তা খুঁজে বের করা?
এই ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষা করে, গবেষক দল মেথিলেশন নামে একটি রাসায়নিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত ডিএনএতে সঞ্চালিত হয়, তবে আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এতে পরিবর্তন দেখা যায়। এটি এপিজেনেটিক ঘড়ি নামে পরিচিত। এই ঘড়িটি নির্দেশ করে যে আমরা যুবক না বৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সবুজ এলাকার কাছাকাছি থাকতেন, তাদের এপিজেনেটিক ঘড়ি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বাকিদের তুলনায়, তার বয়স ২.৫ বছর কম বলে মনে হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এখনও এটি আরও ব্যাপকভাবে গবেষণা করছেন।
No comments:
Post a Comment