কেদারনাথ দর্শনে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়!

 

কেদারনাথ দর্শনে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়!

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,২৯ জুলাই :  ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে কেদারনাথ ধামও একটি।  কেদারনাথকে ভগবান শিবের ১১ তম জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়। এখানে দর্শন করলে যেকোনো মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।  কেদারনাথ ধামের প্রতিটি কণায় শিবের উপস্থিতি অনুভূত হয়।  এখানে মহাদেব শিবলিঙ্গ রূপে বসে আছেন।প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ভক্ত ভোলেনাথের দর্শন করতে কেদারনাথে আসেন।  কেদারনাথ ধামে ভগবান ও ভক্তদের মিলন হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।  পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শিব কেদারনাথ ধামে পাণ্ডবদের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং তাদের গুরুকে হত্যার পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন।  এখানে বাবা কেদারনাথ ভক্তদের কোন বিশেষ ইচ্ছা পূরণ করেন, চলুন জেনে নেই-

 শিবের কেদারনাথ ধামকে দেশের ৫টি পীঠের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বাবা কেদারনাথ ভক্তদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেন। ভগবান শিবও পাণ্ডবদের তাদের বংশ ও গুরু হত্যার পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে সমস্ত ভক্তরা বাবার দর্শনের জন্য কেদারনাথ ধামে পৌঁছান, বাবা তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেন।

 শিবপুরাণ অনুসারে, একজন ব্যক্তি কেবল কেদারনাথ দর্শন করলেই মোক্ষ লাভ করেন।  পার্থিব ভোগ-বিলাস ভোগ করার পর তিনি সরাসরি স্বর্গে চলে যান।  

নেপালের পশুপতিনাথের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।  বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শিবের দেহ কেদারনাথে এবং শিবের মুখ পশুপতিনাথে বিরাজমান।  এমনও বিশ্বাস করা হয় যে কেদারনাথ দর্শন ছাড়া পশুপতিনাথ মন্দির দর্শন অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়।  পশুপতিনাথের দর্শনের জন্য বাবা কেদারনাথ দর্শন করা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়।  ভগবান শিব কেদারনাথে মহিষের লেজের আকারে এবং পশুপতিনাথে মহিষের মুখের আকারে পূজিত হন।

 কিংবদন্তি অনুসারে, মহাভারতের যুদ্ধে প্রিয়জনদের রক্ত ​​ঝরাতে দেখে ভগবান শিব পাণ্ডবদের ওপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।  এরপর পাণ্ডবরা শিবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে কাশীতে যান।কিন্তু শিব সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে কেদারনাথ ধামে চলে যান।  পাণ্ডবরা শিবকে খুঁজতে খুঁজতে কেদারনাথ ধামে পৌঁছলে ভগবান মহিষের রূপ ধারণ করেন।

 পাণ্ডবরা যখন শিবকে চিনতে পেরে যান, তিনি তখন পৃথিবীতে মিশে যেতে শুরু করেছিলেন, তখন ভীম গদা ধরে শিবকে ঝাপ্টে ধরে ফেলেন এই সময় তাঁর মুখ অন্য জায়গায় চলে যায় এবং কেবল দেহটি কেদারনাথে রয়ে গিয়েছিল।  তখন থেকেই কেদারনাথে শিবের দেহের পূজো শুরু হয় এবং মহিষের আকারে শিবের মুখ যে স্থানে পৌঁছেছিল, সেই স্থানটি পশুপতিনাথ নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।