শুনলে অবাক হবেন আপনিও, জানেন এই ভবনের ভিতরেই রয়েছে একটি শহর
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৪ জুলাই:আপনি যে বিল্ডিংটিতে বাস করছেন সেটি কেবল বাড়িই নয় এটি একটি শহর। এই বিল্ডিংটিতে সব প্রয়োজনে জিনিসগুলি একই ছাদের নিচে একত্রিতভাবে জড়ো করা হয়েছে। এই বিল্ডিংটিতে মানুষ লিফটে করে পোস্ট অফিস এমনকি মুদির দোকান আরও অনেক দোকানে তারা যাতায়াত করতে পারে। বাইরে বিসর্জন ঝড় এবং তুষারপাত থাকা সত্ত্বেও সে বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী বাচ্চারা সে বিল্ডিং থাকা স্কুলে তারা পড়াশোনা করতে যায়।
এটি এলাস্কার দক্ষিণে অবস্থিত হুইটিয়ার উপকূলবর্তী শহর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। Rancho Paso de Bartolo Viejo ভূমি অনুদানের অংশ, সাইটটি ১৮৮৭সালে Aquila H. Pickering দ্বারা একটি কোয়েকার সম্প্রদায়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং কোয়েকার কবি এবং বিলোপবাদী জন গ্রীনলিফ হুইটিয়ারের জন্য নামকরণ করা হয়েছিল । এটি একটি কৃষি (প্রধানত সাইট্রাস-বর্ধমান) কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হয়েছিল এবং পরে ক্রমবর্ধমান লস অ্যাঞ্জেলেস মেট্রোপলিটন এলাকার অংশ হিসাবে প্রসারিত হয়েছিল ।
হুইটিয়ার কলেজ (মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এম. নিক্সনের আলমা ম্যাটার ) ১৮৮৭সালে হুইটিয়ার একাডেমি এবং একটি কমিউনিটি কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পিও পিকো স্টেট হিস্টোরিক পার্কে ক্যালিফোর্নিয়ার শেষ মেক্সিকান গভর্নর পিও পিকোর আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করা প্রাসাদ রয়েছে। একটি অনুমানিক ৫১ বর্ঘ কিলোমিটার বা এলাকা বিস্তৃত বর্গমিটার ধরে অবস্থিত।
এখানকার জনসংখ্যার জন্য একটি আবাসিক এলাকা রয়েছে। ১৪ তলা এই ভবনটির নাম হুইটিয়ার টাউন। একে বেগিচ টাওয়ারও বলা হয়। এই টাওয়ারটিতে রয়েছে সব ধরনের সুবিধা। ভবন বা টাওয়ার হওয়ার কারণে একে বলা হয় ভার্টিক্যাল টাউন।এখানের বসবাসিদের তাদের করিডোরে হাটা মানে তাদের প্রতিবেশীদের রাস্তায় হাঁটা। এই ভবনে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বসবাস করে। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই একটি ভবনেই পুরো শহর বসবাস করে। জানেন কি এখানে লন্ড্রি এবং জেনারেল স্টোরের সুবিধাও রয়েছে। সেখানকার মালিক এবং কর্মচারী সকলেই এই ভবনে। অতীতে এটি কোনও শহর ছিল না।
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এই টাওয়ারটি ছিল একটি সেনা ব্যারাক। সেই যুদ্ধের অনেক রহস্য নাকি এখনও এই ভবনে তালাবদ্ধ। ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং সেনাবাহিনী ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জনগণ এটিকে তাঁদের বাসভবনে পরিণত করে। আলাস্কার আবহাওয়া সারা বছরই খারাপ থাকে। কঠিন আবহাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে এই বেগিচ টাওয়ারে মানুষ বসবাস করে। এই ভবন ছেড়ে লোকজন অন্য কোথাও যান না। এ কারণেই এখানে প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্র তৈরি করা হয়েছে। এই শহরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে আড়াই ঘণ্টা ধরে দিক পরিবর্তন করতে হয়।
No comments:
Post a Comment