মালদায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ব্যবস্থা! বরখাস্ত ৪ পুলিশ আধিকারিক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 28 July 2023

মালদায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ব্যবস্থা! বরখাস্ত ৪ পুলিশ আধিকারিক

 


মালদায় ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় ব্যবস্থা! বরখাস্ত ৪ পুলিশ আধিকারিক



নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৮ জুলাই, মালদা : মালদায় চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনার নয় দিন পর আইসি সহ চার পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।  ঘটনার নয় দিন পর, মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।  পুলিশ সূত্রে খবর, আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা থানার ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট থানার ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকারকে ক্লোজ করা হয়েছে।



 মালদার পাকুয়াহাটে, চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে কেন গ্রেফতার হলেন দুই 'ভিকটিম'?


 এর পরে, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।  এরপর শুক্রবার চার পুলিশ আধিকারিককে 'ক্লোজ' করা হয়।  পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনের দায়িত্বে 'অবহেলার' অভিযোগ পাওয়া গেছে।


 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনগোলায় সাপ্তাহিক বাজারে গিয়েছিলেন দুই মহিলা।  দর কষাকষির সময় তিনি শস্য বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


 বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ধরে মারধর করে।  ঘটনার পরপরই পুলিশ মামলা দায়ের করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।  এর মধ্যে তিন নারীও জড়িত ছিল।  বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ 'ভিকটিম' দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে।



 

 পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, “প্রতিবেদন রাজ্য মহিলা কমিশনকে দেওয়া হবে।  নারীদের মারধরের অভিযোগের ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।  তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”


 এই উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার মালদার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত দু'জনেরই জামিন মঞ্জুর করে।  পাকুয়াহাট ঘটনার দুই 'ভিকটিম'ই শুধু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নয়, ফাঁড়ির পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও শাস্তি দাবী করেছে।


 জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে একটি ইমেল পাঠিয়েছিল।  রিপোর্টে পুলিশের এ পর্যন্ত গৃহীত সকল পদক্ষেপ উল্লেখ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এরপরই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা পুলিশ।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad