বিষধর সাপের ছোবলেও ঘোড়ার মৃত্যু হয় না কেন? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 26 July 2023

বিষধর সাপের ছোবলেও ঘোড়ার মৃত্যু হয় না কেন?

 


বিষধর সাপের ছোবলেও ঘোড়ার মৃত্যু হয় না কেন? 


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৬ জুলাই: বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীদের মধ্যে সাপ একটি। যাদের কামড়ে কেউ রক্ষা পায় না তবে বেশ কয়েকটি প্রাণী রয়েছে যারা সাপের কামড়েও মরেনা। এদের মধ্যে একটি প্রাণীর নাম হচ্ছে ঘোড়া। সাপের কামড়ে ঘোড়া তিন দিন অসুস্থ থাকার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় আর ঘোড়ার থেকে আসে পৃথিবীর সমস্ত সাপের বিষের প্রতিষেধক anti venom। পৃথিবীতে খুব সল্প সংখ্যক প্রাণী রয়েছে যারা নিজের শরীরে সাপের বিষ প্রতিরোধে ওষুধ তৈরি করতে পারে যেমন বেজি, উট, ঘোড়া, হাঙর ইত্যাদি। আসলে কোন একটি সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি করতে হলে ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সাপের বিষ তাতে ঘোরার কিছুই হয় না। শুধুমাত্র তিনদিনের জন্য অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের anti venom তৈরি হয়ে যাবে ।


ঘোড়ার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাত্‍ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। ঘোড়া বেশ স্বাস্থ্যবান এবং অনেক রক্ত থাকে বলে, বেশ ভালো পরিমাণে রক্ত নিলেও (গড়ে প্রতি ঘোড়া থেকে প্রায় ৬ লিটার রক্ত নেওয়া হয়) ঘোড়ার তেমন ক্ষতি হয় না। এখন এই এন্টি ভেনমের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে শিশিতে ভরে বাজারে সরবরাহ করা হয়।


চিকেন পক্সের এন্টিবডি এবং সাপের বিষের এন্টি ভেনমের মূলনীতি প্রায় একই। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে এন্টিবডি তৈরি করে আমাদের শরীর । আর সাপের বিষের ক্ষেত্রে সেটি তৈরি হয় ঘোড়ার শরীরে। এই এন্টি ভেনম সাপে কাটা রোগীর শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টি ভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রোগীর জীবন বাঁচায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad