ভোটের দিন রাজভবন ছেড়ে গ্রাউন্ড জিরোতে রাজ্যপাল
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৮ জুলাই, কলকাতা : ভোটের দিন রাজভবনে নয় গ্রাউন্ড জিরোতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনী সহিংসতার মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। গতকাল, শুক্রবার রাজভবন থেকে বলা হয়েছিল, ভোটের দিন সকালে রাজ্যপাল গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে যাবেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি বিভিন্ন জেলা সফর করবেন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই রাজ্যপাল রাজভবন ত্যাগ করেন।
সকালে ব্যারাকপুরে পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা রাজ্যপালের গাড়িবহর ঘিরে ফেলে। গভর্নর সিভি আনন্দ বোস গাড়ির দরজা খুলে সব অভিযোগ শোনেন। মানুষ বলেছে, নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর ২ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে রাজ্যপালের কনভয় দেখে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। তারা রাজ্যপালকে বলেন, "আপনারা নিজের চোখেই দেখছেন ভোটের নামে এটা একটা প্রহসন।"
গভর্নর গ্রাউন্ড জিরো পৌঁছেছেন
শুক্রবার রাতে, রাজভবন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিল যে রাজ্যপাল নির্বাচন পরিদর্শন করবেন। রাজভবনের চিঠিতে বলা হয়েছে যে ভোটের দিন, রাজ্যপাল রাজভবন থেকে সড়কপথে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসুদেবপুরে অবস্থিত একটি বুথের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৬ টায় রওনা দেবেন। সেই অনুযায়ী রাজ্যপাল ব্যারাকপুরে পৌঁছলেন।
দুপুর ১২টায় রাজভবনের শান্তি কক্ষে থাকবেন তিনি। তারপর যাবেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। নির্বাচনী নিরাপত্তা ইস্যুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্যপালের এই ধরনের আক্রমণে শাসক দল তৃণমূলের অতিসক্রিয়তা দেখা গেছে।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা সরাসরি রাজ্যপালকে 'বিজেপি ক্যাডারের মতো আচরণ' করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সহিংসতা-প্রবণ এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বলেন, “আমি প্রচারের জন্য জায়গায় জায়গায় যাচ্ছি না। আমি গণতন্ত্রের জন্য কাজ করব, কেউ যখন অপপ্রচার বলে, তখনও তাই বলে।"
রাজ্যপাল সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে রাজ্যে আন্দোলনের পর থেকেই সক্রিয় রাজ্যপাল। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সফর করছেন। যেখানে অশান্তির খবর আসছে। রাজ্যপাল সেখানে যাচ্ছেন।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার সফর চলতে থাকে ক্যানিং থেকে কোচবিহার পর্যন্ত। অস্থিরতার বিষয়ে সরাসরি তথ্য দিতে রাজভবনে কন্ট্রোল রুমও খুলেছেন তিনি। যার নাম দেন 'পিসরুম'।
এছাড়াও রাজভবনে একটি শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটিও খোলা হয়েছে। সেই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়কে।
No comments:
Post a Comment