"বাংলায় চলছে বোমা সংস্কৃতি", মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা অনুরাগ ঠাকুরের, ৩৫৬ ধারা দাবী শুভেন্দুর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 8 July 2023

"বাংলায় চলছে বোমা সংস্কৃতি", মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা অনুরাগ ঠাকুরের, ৩৫৬ ধারা দাবী শুভেন্দুর

 


"বাংলায় চলছে বোমা সংস্কৃতি", মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা অনুরাগ ঠাকুরের, ৩৫৬ ধারা দাবী শুভেন্দুর



নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৮ জুলাই, কলকাতা :  পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে মমতা সরকারকে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি।  বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হিংসা ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ঘেরাও করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।  পাশাপাশি বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া সহিংসতা দমন করা সম্ভব নয়।" তিনি বলেন যে, "৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।"



 অনুরাগ ঠাকুর বলেন, "নির্বাচনে বাংলার বোমা সংস্কৃতি দেখা গেছে।  এটাই কি চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?  আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও মৃতদেহের উপর ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন।"


 তিনি বলেন, "মনে হচ্ছে সরকারের যোগসাজশে বোমা ফাটানো হচ্ছে, খুনও হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রও লুট হচ্ছে।  কেন আপনি নিজের দায়িত্ব নিচ্ছেন না?  আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে।  কেন্দ্রীয় জওয়ানের কথা কী বলব।"


 তিনি বলেন, "বাংলায় এটাই দেখবেন।  মানুষকে স্তব্ধ করার জন্য বোমা নিক্ষেপ করা হয়, খুনও করা হয়।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে স্নেহের বিন্দু পরিমাণও অবশিষ্ট নেই।  যদি হাইকোর্ট আপনাকে তিরস্কার করে।"


 তিনি বলেন যে, "সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ করা উচিৎ, রাজ্যপালও নিয়োগ করা উচিৎ, কিন্তু নির্লজ্জভাবে, প্রতিটি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বাড়তে থাকে।  তাই এমন গণতন্ত্রের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন।"


 বাংলায় চলছে বোমা সংস্কৃতি


 তিনি বলেন, "কাউকে খুন করে ক্ষমতা নিতে পারি, এটা কী ধরনের রাজনীতি?  আপনার নিজের কোনও অর্জন না থাকলে, আপনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের উপর ফটো লাগিয়ে আপনার অর্জন গণনা করেন, নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে, বোমা সংস্কৃতি দৃশ্যমান হয়।"


 এদিকে, বাংলার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলায় সহিংসতা থামবে না।  তৃণমূল নেতা ও বিধায়করা সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে থামাচ্ছেন।  রাজ্যে সহিংসতার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজীব সিনহা।"



তিনি বলেন, "আমি রাজপথে থাকব।  কিন্তু ৩৫৫, ৩৫৬ কেন্দ্র বা রাজ্যপালের হাতে।  তারা শক্তিশালী। বাকি কেন্দ্র এবং রাজ্যপাল কী করবেন তা তাদের উপর নির্ভর করে।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুটি উপায় আছে।  জনগণের বিদ্রোহ  চল কালীঘাট যাই।  গুলি করতে চাইলে আগে দশ-বিশটা মরবে।" রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই নতুন স্লোগান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।


 শুভেন্দু ৩৫৬ ধারা দাবী করেন


 তিনি বলেন, “দিল্লী কী ভাববে, অন্যরা কী বলবে তা আমার জানার দরকার নেই।  আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে।"


 শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছি।  তার জন্য আমার যা করা দরকার তাই করব।  বাংলার গণতন্ত্র বাঁচাতে পতাকা নিয়ে যা যা করার আমি করব।  এই রাজ্যে নির্বাচনের সময় ৩৫৬ বা ৩৫৫ জারি পশ্চিমবঙ্গের ভোটকে প্রভাবিত করবে না।"


 শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।  শনিবার নন্দীগ্রাম থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংকে ফোন করেন তিনি।


 ফোনে বলেন, "আর কত রক্ত ​​চাই?  আমি কমিশনের অফিসে তালা দিতে কলকাতায় আসছি।" কিন্তু পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল।  কমিশন অফিসের কাছে পৌঁছতেই বিজেপি কর্মীদের থামিয়ে দেন।  পরে পুলিশ অনেককে আটক করে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad