আত্মঘাতী দম্পতি! তৃণমূল নেতা সৈকতের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি ১৮ জুলাই : দম্পতি আত্মহত্যা মামলায় জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। আদালতের ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট বিচারক মহম্মদ জাফর পারভেজ ওই পরোয়ানা জারি করেছেন। মঙ্গলবার আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় ব্যানার্জী টেলিফোনে জানান ওই ঘটনার তদন্তকারি অফিসার তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন আদালতের কাছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
চলতি বছর এপ্রিল মাসের ১ তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। তদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে এই ঘটনার জন্য জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও মনোময় সরকার, সোনালী বিশ্বাসকে দায়ী করেন। এই ঘটনার পরে সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চ্যাটার্জী কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এরপরেই গত মে মাসের ১০ তারিখ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে ওই মাসের ১২ তারিখ গ্রেফতার হয় সোনালী বিশ্বাস। যদিও অভিযুক্ত এই দুই জনের জামিন হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সৈকত চট্টোপাধ্যায় সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করলে গত ১৬ জুন ওই জামিন খারিজ করে দেয় আদালত। তার পর থেকেই সৈকত পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এদিন সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত দাবী করেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় পলাতক নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন পেন্ডিং আছে। সুতরাং তিনি এখনও বিচারাধীন প্রসেসের মধ্যে রয়েছেন, পালিয়ে যাননি। তদন্তকারি অফিসার যেভাবে আদালতে আবেদন করেছেন সেটা সঠিক হয়নি। তাই এই বিষয় নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment