দম্পতি আত্মহত্যা মামলায় জামিন অভিযুক্তর
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৬ জুলাই: সময় ছিল ৬০ দিন। এই সময়ের মধ্যে চার্জশীট জমা করতে পারেনি পুলিশ। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত সময় চেয়ে আদালতে আবেদনও করেননি তদন্তকারি পুলিশ অফিসার। যার ফলে দম্পতি আত্মহত্যা ঘটনায় একে পর এক অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। সন্দীপ ঘোষের পর এবার জামিন হল অভিযুক্ত সোনালী বিশ্বাসের।
সোনালী বিশ্বাসের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, পুলিশ যেহেতু ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জ শীট জমা করতে পারেনি, সেই কারণে সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এদিকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। স্বাভাবিক ভাবে ওই ঘটনার পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসের ১ তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। তদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে এই ঘটনার জন্য জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও মনোময় সরকার, সোনালী বিশ্বাসকে দায়ী করেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সোনালী বিশ্বাসের স্বামী দিব্যেন্দু বিশ্বাসকেও এই ঘটনায় জড়িত বলে জানায় পুলিশ।
গত মে মাসের ১০ তারিখ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে ওই মাসের ১২ তারিখ গ্রেফতার হয় সোনালী বিশ্বাস। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা করে। এক্ষেত্রে আইন অনুসারে গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে চার্জশিট জমা করার নিয়োম থাকলেও পুলিশ তা করতে পারেনি। যে কারণে আইন অনুসারে সন্দীপ ঘোষের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। একই ভাবে সোনালী বিশ্বাসের জামিন মঞ্জুর হল।
আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, চার্জশিট নির্দিষ্ট সময়ে জমা করতে না পারলেও পুলিশের তদন্তকারি অফিসারকে অতিরিক্ত সময় চেয়ে ল আদালতে আবেদন পত্রও দিতে দেখা যায়নি। যে কারণে সোনালী বিশ্বাস আদালত থেকে স্ট্যাটুইটারি বেলে মুক্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে পুলিশ এখন চার্জশিট দিতে না পারার ঘটনায় মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের কন্যা তানিয়া ভট্টাচার্য এদিন টেলিফোনে বলেন, 'এর আগে কোতয়ালী থানা এই ঘটনার তদন্তের নামে প্রহসন করেছে। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে এডিজি, কে, জয়রমনের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ টিম। এদের তদন্তের ওপর তার আস্থা আছে। যেহেতু মূল অভিযুক্ত এখোন ধরা পরেনি তাই চার্জশিট দিতে সময় লাগাতে পারে। তাছাড়া জামিন হলেও তো মামলা থেমে নেই। পরে আবারও গ্রেফতার হবে।'
No comments:
Post a Comment