সর্দি-কাশি ও লুজ মোশনে উপকারী বাঁশ-করিলের তরকারি
সুমিতা সান্যাল, ২ জুলাই: বাঁশের করিল বলা হয় বাঁশের তাজা কান্ড, অর্থাৎ মাটি থেকে সদ্য জন্মানো বাঁশকে, যা নরম। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এর তরকারি খেলে লুজ মোশনে আরাম পাওয়া যায়। করিলে বিটেইন এবং সায়ানোজেন নামক যৌগ পাওয়া যায়, যা বদহজম ও লুজ মোশন প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এটি সর্দি-কাশিতে উপশম দেয়।আপনার যদি ঠাণ্ডা ও কফের সমস্যা থাকে তবে এটি ব্যবহার করা শুরু করুন।
বাঁশ-করিলের তরকারির উপকরণ -
বাঁশ-করিল ১\২ কেজি,
জিরা ২ চা চামচ,
ধনে গুঁড়ো ২ চা চামচ,
কাঁচা লংকা ২ টি,
হলুদ গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
রসুনের কোয়া ১০ টি,
আদা ১ ইঞ্চি টুকরো,
দই ১\২ কাপ,
তেল প্রয়োজন মতো,
জল প্রয়োজন মতো,
লবণ স্বাদমতো,
কাশ্মীরী লাল লংকার গুঁড়ো ১\২ চা চামচ,
ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
তৈরির পদ্ধতি -
বাঁশের কান্ডগুলো নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন এবং তারপর জলে কিছু দই মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এতে এর গন্ধ চলে যাবে। তারপর ২ থেকে ৪ বার ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এবার এগুলো মোটা করে গ্রেট করে নিন। গ্রেট করার পর চালনির সাহায্যে এর থেকে সব জল ঝরিয়ে নিন। যার কারণে বাঁশের গন্ধ লাগবে না।
এটি একটি বড় পাত্রে রাখুন। একটি প্যানে তেল গরম করে তারপরে ১ চা চামচ জিরা দিয়ে বাঁশের করিল যোগ করুন এবং ১০ মিনিটের জন্য ভালো করে ভাজুন।
এরপর গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। এরপর কিছুক্ষণ ভালো করে রান্না করুন যাতে ভালোভাবে ভাজা হয়।
একটি মিক্সারে ১ চা চামচ জিরা, আদা, রসুনের কোয়া, কাঁচা লংকা এবং জল দিয়ে ভালো করে পাতলা পেস্ট তৈরি করে নিন।
তারপরে বাঁশের তরকারি কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে এতে সমস্ত মশলা দিয়ে দিন। একই সাথে এতে হলুদ গুঁড়ো এবং ধনেপাতা কুচিও যোগ করুন।
এবার সুন্দর রঙের জন্য কাশ্মীরী লাল লংকার গুঁড়ো যোগ করে তারপর মশলাগুলো ভালো করে নেড়ে ৫ মিনিট ভাজুন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে তাতে লবণ দিয়ে দিন। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করার জন্য ঢেকে রেখে দিন।
বাঁশ-করিলের তরকারি তৈরি। লাঞ্চে পরিবেশন করুন।
No comments:
Post a Comment