ভোটের হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০-এ
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৪ জুলাই, কলকাতা : ভোটের হিংসায় মৃত্যু হল বিষ্ণুপুরের বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীর। এ নিয়ে রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে ৩৭ দিনে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে মারধরের পর ওই প্রার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে মারা যান বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডল। বিজেপির পরাজিত প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডল আজ, শুক্রবার সকালে মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথ থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ভোলানাথ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ভোটের তিন দিন আগে বাড়িতে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তার ওপর হামলা চালায়। কেন তিনি বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তা নিয়ে তার উপর চাপ তৈরি করা হয়। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পেটে, বুকে লাথি মেরেছে এবং বন্দুকের বাট দিয়ে চোখে আঘাত করা হয়। স্বজনরা জানান, ভোলানাথের ইউএসজি রিপোর্ট খুবই খারাপ ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে তাকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে ভোলানাথের মৃত্যু হয়।
বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিরোধীদের দাবী, ক্ষমতাসীন দলের খুনের রাজনীতির কারণে একের পর এক তাদের কর্মীরা মারা যাচ্ছে। যদিও ক্ষমতাসীন দল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্বজনরা। পরিবারের অভিযোগ, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দিলীপ নস্কর এবং তাঁর সমর্থকরা ভোলানাথ মণ্ডলকে মারধর করে।
মনোনয়নের পর থেকেই জেলায় হামলা, বোমাবাজি ও এলাকা দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের এক তৃণমূল কর্মী এনআরএস-এ মারা যান। এদিন বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের বিজয় মিছিলে সংঘর্ষ হয়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা মারা গেছেন। মৃতার নাম অলকা রুইদাস।
No comments:
Post a Comment