ভোট পর্বে হিংসা! অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দেগঙ্গায় পদ্মের ৫ মহিলা সাংসদ
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ জুলাই: বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট পর্বের হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা পরিদর্শনে এল তথ্যানুসন্ধান দল। এই দলে রয়েছেন বিজেপির লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট পাঁচ জন মহিলা সাংসদ। ওই দলের মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। বাকিরা হলেন রমা দেবী, অপরাজিতা সারেঙ্গি, সন্ধ্যা রায়, কবিতা পতিদার।
বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট পর্বে মহিলাদের ওপরেও অত্যাচার হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ বিজেপির। পরিস্থিতি দেখে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট দেবেন তারা।
দেগঙ্গা বিধানসভার ১৬৭ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী ভক্তি দাস বলেন, 'যেদিন থেকে ভোট হয় সেইদিন আমাদের এক কর্মী সুকান্ত ভট্টাচার্যকে মেরেছে, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।' ভক্তি দাস আরও বলেন, 'রাত ১০:৩০ মিনিটে পলিটেকনিক কলেজে ভোট হচ্ছিল, অত রাতেও তারা ছাপ্পা দিচ্ছিল সেই পলিটেকনিক কলেজে। মহিলাদের ওপরেও অত্যাচার করেছে। পুরো ঘটনাটাই আমরা টিমের সদস্যদের জানিয়েছি।'
সরোজ পান্ডে বলেন, "যেভাবে প্রকাশ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পশ্চিমবাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা ভারতবর্ষে এমন কোথাও নেই। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে মানুষকে যেভাবে ভয় দেখানো হয়েছে, মারপিট করা হয়েছে, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, মা কাঁদছে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে, তা খুবই আশ্চর্যজনক।"
তিনি আরও বলেন, "এখানকার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা, তাঁর তো মমতা আছে। মানুষ ওঁকে দিদি বলে ডাকে, একজন মেয়ে হয়ে মেয়ের ওপর এরকম করাটা উচিৎ নয়। গোটা ভারতে যেখানে গণতন্ত্র বিরাজ করছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যে গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে এটা খুবই লজ্জাজনক।"
No comments:
Post a Comment