সরকারের সাহায্যে অনুর্বর জমিতেও ফলবে ফসল
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক,২৮ জুলাই : উত্তরপ্রদেশে ১০লক্ষ হেক্টরের বেশি জমি অনুর্বর পড়ে রয়েছে । এসব জমিতে চাষিরা খুব কম চাষাবাদ করেন। কেননা কঠোর পরিশ্রম করেও কৃষকরা এ ধরনের জমিতে ফসল ফলিয়ে খরচ পুষিয়ে নিতে পারেন না। এবং বিশেষ বিষয় হল সবচেয়ে অনুর্বর জমি বুন্দেলখণ্ড এবং বিন্ধ্য রেঞ্জে। তবে এখন বুন্দেলখণ্ড এবং বিন্ধ্য রেঞ্জের কৃষকদের চিন্তার দরকার নেই। কারণ এখন তাদের অনুর্বর জমিতেও 'সোনা' ফুটবে। এই জন্য, অনুর্বর জমিতে উদ্যান ফসলের প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিশাল মিশন শুরু করেছে।
প্রকৃতপক্ষে, কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে উদ্যান চাষের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় উদ্যানপালন মিশন প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের আঞ্চলিক জলবায়ু ও ঋতু অনুযায়ী ফল চাষে উৎসাহিত করা হয়। এর আওতায় কৃষকদের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়। অনেক রাজ্যের কৃষকরা এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ সুবিধা নিয়েছেন। এবার বুন্দেলখণ্ড ও বিন্ধ্য রেঞ্জের কৃষকদের পালা।
তথ্য অনুসারে, বুন্দেলখণ্ড এবং বিন্ধ্য রেঞ্জের কৃষক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা চিরঞ্জি চাষ করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে। এর পাশাপাশি বুন্দেলখণ্ডের ৭টি জেলায় ডুমুর, ড্রাগন ফল, আমলকী এবং লেবু চাষে নজর দেওয়া হবে। এসব জেলায় এসব ফল চাষে কৃষকদের ভাল ভর্তুকি দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বিশ্বাস করে যে ডুমুর, ড্রাগন ফল, আমলা এবং লেবু চাষ করে কৃষকদের আয় চার গুণ বাড়বে।
কৃষি বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের জলবায়ু এবং মাটি উদ্যান ফসল চাষের জন্য খুবেই অনুকূল। এই কারণেই যোগী সরকার হর্টিকালচার মিশনের অধীনে ফল চাষে বেশি জোর দিচ্ছে। বিশেষ বিষয় হল চিত্রকূটের বনাঞ্চলে চিরঞ্জির চাষও শুরু হয়েছে। এখন বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে কৃষকদের সংযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চিরঞ্জি, আমলকী এবং মহুয়া শুষ্ক বিভাগে আসে। অর্থাৎ এসব ফসলে খুব কম সেচের প্রয়োজন । একই সঙ্গে গবেষণায় এটাও পাওয়া গেছে যে বুন্দেলখণ্ডের জলবায়ু ড্রাগন ফল চাষের জন্য বেশ অনুকূল। এখানকার কৃষকরা এক হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের ৫৫০টির বেশি গাছ লাগাতে পারেন। প্রতিটি উদ্ভিদ ৫০ কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন করতে পারে। এভাবে ড্রাগনসহ এসব ফল চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন কৃষকরা।
No comments:
Post a Comment