বাংলায় চলছে রক্তক্ষয়ী খেলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন যুব তৃণমূল নেতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 2 July 2023

বাংলায় চলছে রক্তক্ষয়ী খেলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন যুব তৃণমূল নেতা

 


বাংলায় চলছে রক্তক্ষয়ী খেলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন যুব তৃণমূল নেতা



নিজস্ব সংবাদদাতা, ০২ জুলাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের ধারা অব্যাহত রয়েছে।  এবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীতে গুলি করে খুন করা হল যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে।  শনিবার রাতে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তায় গুলি চলে।  জিয়াউল মোল্লা নামে এক যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকরা তৃণমূল নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন।


 এই ঘটনার পর রাত থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং ও বাসন্তী এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।  রাজ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।  পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


 বলা হচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাসন্তী এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।  নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে উভয় দলের সদস্যদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।  এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


 এ সময় লাঠিচার্জের অভিযোগও ওঠে।  এর পর সন্ধ্যায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।  রাত ৯টার দিকে ফুলমালঞ্চ এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।  এ সময় ফুলমালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী জিয়াউল সড়কপথে বাড়ি ফিরছিলেন।



 জানা গেছে, কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে বাইক নিয়ে ঘিরে গুলি চালায়।  তার মাথায় ও পেটে গুলি লেগেছে।  জিয়াউল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।  সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


 পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন মঞ্চ থেকে মোট ১৩ জন রাজনৈতিক কর্মী মারা গেছেন। বাসন্তী সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক এলাকায় ইতিমধ্যেই যুব তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চলছে।  জিয়াউলের ​​ওপর হামলা একই সংগ্রামের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


 তৃণমূলের পারস্পরিক দলাদলি সামনে এসেছে


 তবে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “চারজন এসে জিয়াউলকে গুলি করে খুন করেছে।  কে করেছে জানি না।  তিনি দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।  এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।"


 মনোনয়নের প্রতিবাদে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে চোপড়া থেকে ভাঙড়, ক্যানিং থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে হিংসার ঘটনা।  সহিংসতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৩১৫ টি কোম্পানি এ পর্যন্ত রাজ্যে পৌঁছেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad