OMG! সাপের জন্য আলাদা রাজ্য রয়েছে এই দেশে
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৫ জুলাই: ব্রাজিলের এই দ্বীপের পুরোটা জুড়ে রয়েছে সাপ আর সাপ। এমন অদ্ভুত দ্বীপ টি ব্রাজিলের সাঁওপালের থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির নাম ইলাহা দে কুইমাদা গ্রন্ডি। চার লক্ষ তিরিশ হাজার বর্গমিটারের ছোট এই দ্বীপটি ৫ লক্ষ সাপের বাস। প্রতি এক বর্গ মিটারে একটি করে সাপ রয়েছে। এই দ্বীপের বেশিরভাগই ফরেস্ট দিয়ে ঢাকা। ধারণা করা যায় প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে সমুদ্রের জল বেড়ে যাওয়ায় এই দ্বীপটি তার মূলভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় তার ফলে ওখানে অনেক সাপ আটকে পড়ে থাকায় দ্বীপটি সাপে ভরে যায়। এই দ্বীপের আবহাওয়া সাপেদের জন্য উপযোগী হওয়ায় সাপেরা এখানে ক্রমশই বংশবিস্তার করে। ধারণা করা যায় প্রতি এক বর্গমিটারে একটি করে সাপ রয়েছে। সাঁওপালের লোকরা মনে করে যে এই দ্বীপটি তাদের জন্য অভিশাপ্ত। সরকারে আদেশে এই দ্বীপে লোকজনের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ। কারণ এই দ্বীপে গেলে কেউ আর জ্যান্ত ফিরে আসবেনা।
শুধুমাত্র ব্রাজিলের নৌ বাহিনী এবং গবেষণার কাজের লোক ছাড়া এখানে জনসাধারণদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এখানের লোকেদের এই ভাবনা যে ডাকাতরা চুরি করে এই দ্বীপে সোনা গানা লুকিয়ে রাখত তখন তারা কিছু সাপ এখানে ছেড়ে গিয়েছিল তার ফলে সাপেরা ক্রমশ এখানে বংশবিস্তার করত এবং তারা ডাকাতদেরকেও মেরে ফেলে। আবার অনেকে মনে করেন এই দ্বীপে যেন রাজার গুপ্তধন লুকানো রয়েছে। এই গুপ্তধনের খোঁজে এই দ্বীপে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সাপের কামড়েই তাদের মৃত্যু হয় এই দ্বীপে মানুষের কঙ্কাল এবং হাড়গোড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
মানুষের ভাবনা যে রাজার যে গুপ্তধন লুকানো আছে তার অভিশাপে ওখানে মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অনেক গুপ্তধন শিখাইরা বলেছেন যে রাতের বেলা এই দ্বীপ থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায় দিতে প্রায় চার হাজার বিষধর সাপের পাশাপাশি পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ও বাস করে।গোল্ডেন ল্যান্সহেড সব সাপেদের থেকে বিষধর সাপ কারণ এই সাপ কামড়ালে একবারেই মানুষের মৃত্যু হয়। গোল্ডেন ল্যান্সহেড কামড়ালে মানুষের মাংস গলে যায়। গোল্ডেন ল্যান্ডসহেড প্রায় তিন থেকে ছয় ফুট হয়ে থাকে এবং এদের শরীরের রং উজ্জ্বল বাদামি । এবং এই দ্বীপে প্রচুর পাখি বাস করে এবং এ পাখিরাই হলো সাপেদের খাদ্য। কারণ যখন পাখিরা এই দ্বীপে বিশ্রাম নেয় এবং ঝড়ের কবলে পড়ে গিয়ে দ্বীপে থাকে তখন সাপেদের খাদ্য হয়ে যায় এই পাখিরা।
জনবসতিহীন এই দ্বীপে নাবিকদের সুবিধার্থে একটি লাইট হাউস নির্মাণ করা হয় আর এই লাইট হাউসের দায়িত্বে একজন ব্রাজিলের অফিসার ছিলেন এবং তিনি তার ফ্যামিলি নিয়ে সেখানে থাকতেন কিন্তু কিছুদিন পরে সেখানে তাদের দেহ দেখা যায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায় তাদের মৃত্যু হয়েছে সাপেদের কামড়ের জন্যে। তারপর থেকেই সেখানে অটোমেটিক লাইটে ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment