রাজ্যপালের পা আঁকড়ে ধরে অঝোরে কান্না, বাবার খুনের ন্যায়বিচার চান মেয়ে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 3 July 2023

রাজ্যপালের পা আঁকড়ে ধরে অঝোরে কান্না, বাবার খুনের ন্যায়বিচার চান মেয়ে

 


রাজ্যপালের পা আঁকড়ে ধরে অঝোরে কান্না, বাবার খুনের ন্যায়বিচার চান মেয়ে



নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৩ জুলাই, কলকাতা : শনিবার বাবাকে খুন করা হয়।  নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে মনোভারা পিয়াদা তার বাবার মৃত্যুর পর গত দুদিন ঘুমাতে পারেননি।  কাঁদতে কাঁদতে পুরো পরিবারের অবস্থা খারাপ।  যখন জানা গেল রাজ্যপাল তাঁর গ্রামে আসছেন, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও এসেছিলেন, কিন্তু বাসন্তীর গাগ্রামারি গ্রামে তাঁর বাড়িতে যাননি।


 এরপর জিয়ারুলের মেয়ে এক পরিচিতের বাইকে করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হন।  ক্যানিংয়ে আসেন তিনি।  রাজ্যপাল তখন ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোতে।  সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন জিয়ারুলের মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা।



 রাজ্যপালকে দেখে তিনি তার পা জড়িয়ে ধরলেন। রাজ্যপালের পা জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন তিনি।  তিনি রাজ্যপালকে তার বাবাকে খুনের কথা শোনান এবং বিচার চান বলে জানান।


 সহিংসতার শিকারদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল


রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে তিন দিন ছিলেন।  পঞ্চায়েত নির্বাচনের সহিংসতার বিষয়ে রাজ্যপাল ভাঙড় এবং ক্যানিং পরিদর্শন করেছেন।  কিন্তু সম্প্রতি বাসন্তীতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।


 খবর পেয়ে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় আসবেন বলে জানান।  রবিবার কলকাতায় ফেরার পর সোমবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় যান রাজ্যপাল।


 তিনি বাসন্তীর ছত্রখালী গ্রামে জিয়ারুলের মৃত্যুস্থল পরিদর্শন করেন।  রাজ্যপালের আগমনের খবর শুনে নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন।  কিন্তু রাজ্যপাল জিয়ারুলের বাড়িতে যাননি।


নিহত তৃণমূল কর্মীর স্বজনরা রাজ্যপালকে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে আগ্রহী। রাজ্যপাল এতে সম্মত হন।  নিহত তৃণমূল কর্মীর আত্মীয়রা মনে করেন, হয়তো রাজ্যপাল গ্রামে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।


 কিন্তু রাজ্যপাল গ্রামে আসছেন না জানতে পেরে কিছুটা ভেঙে পড়েন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে।  সোমবার ক্যানিং পৌঁছান রাজ্যপাল।  জিয়ারুলের মেয়ে বন্ধুর বাইকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।


  রাজ্যপালের সাথে দেখা করার পর জিয়ারুলের মেয়ে তার পা জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকে।  তিনি তার বাবার খুনের তদন্তের জন্য ন্যায়বিচারের আবেদন করেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad