কম খরচে বেশি লাভ! শুরু করুন কাঁকড়া চাষের ব্যবসা
রিয়া ঘোষ, ২৫ জুলাই : কাঁকড়া একটি সামুদ্রিক খাবার। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ এটি খুব উৎসাহের সাথে খায়।
এটি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই এশিয়ার দেশগুলোতে কাঁকড়া চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় কাঁকড়া চাষের ব্যবসা শুরু করে চাষিরা ভালো লাভ করতে পারেন। তো চলুন জেনে নিন এর ব্যবসা সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এর চাষে খরচ কম হয় এবং এর থেকে ভালো লাভ করা যায়। এমতাবস্থায় কাঁকড়া চাষের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে কিভাবে কাঁকড়া চাষ করতে হয়। কাঁকড়া অনেক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। তো চলুন প্রথমে জেনে নিন কাঁকড়া চাষ সম্পর্কে-
কাঁকড়া চাষ
মিঠা জলে কাঁকড়া চাষকে কাঁকড়া চাষ বলা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় মাঠে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে তাতে কাঁকড়া ফেলে রাখা হয়, তবে তার আগে কাঁকড়ার বীজ একটি ছোট পাত্রে বা খোলা জলের বাক্সে রাখা হয়। পরে এসব পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।
কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ
আন্তর্জাতিক বাজারে বড় আকারের কাঁকড়ার চাহিদা বাড়লে ছোট কাঁকড়া পুকুরে, কৃত্রিম উপাদানে তৈরি বাক্সে পালন করা হয়। এর অধীনে, নরম খোসাযুক্ত কাঁকড়াগুলি কয়েক সপ্তাহ ধরে যত্ন নেওয়া হয় যতক্ষণ না এর বাইরের খোসা শক্ত হয়ে যায়। এতে, ২০০ গ্রাম কাঁকড়ার ওজন এক মাসে ২৫ থেকে ৫০ গ্রাম বৃদ্ধি পায়, যা ৯-১০ মাস ধরে বাড়তে থাকে। এই "কঠিন" কাঁকড়াগুলি স্থানীয়ভাবে "মাড" (মাংস) নামে পরিচিত এবং বাজারে নরম কাঁকড়ার চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি পাওয়া যায়। এর আওতায় ০.০২৫-০.২ হেক্টর এবং ১ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতার ছোট জোয়ারের পুকুরে কাঁকড়া পালন করা যায়।
পলিকালচার সহ কাঁকড়া চাষ
বর্তমান সময়ে কৃষকরা মাছের পাশাপাশি কাঁকড়া চাষ করছেন। এ জন্য কৃষকরা তাদের সাথে দুধের মাছ, মুলেট বা অন্যান্য প্রজাতির মাছ এবং পেছনের কাঁকড়া নির্বাচন করতে পারেন।
কাঁকড়া খাওয়ানো কি?
ট্র্যাশ ফিশ, ব্রাইন ঝিনুক বা সিদ্ধ মুরগির বর্জ্য কাঁকড়াদের প্রতিদিন তাদের ওজনের ৫-৮% হারে দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি যারা মাছ বিক্রি করেন তাদের বর্জ্য বা শুকনো মাংস পশুখাদ্য হিসেবে রাখতে পারেন।
No comments:
Post a Comment