ব্যালট গেল পেটেই! ওই বুথ সহ ২০ জায়গায় ফের ভোট
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৩ জুলাই, কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। ব্যালট ছিনতাই, লুট এমনকি ব্যালট পেপার চিবিয়ে খাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। ফলাফল প্রকাশের পরেও একাধিক জেলার একাধিক আসনে ভোট বাতিলের ঘোষণা করা হয়। সেইসব কেন্দ্রগুলোতে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এবারে হাওড়ার সাঁকরাইল, হুগলি জেলার সিঙ্গুরের একটি আসন এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া- দুই ভুরকুন্ডা যেখানে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যালট চিবিয়ে খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ও উত্তর ২৪ পরগনার গুমা পঞ্চায়েত আসনে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে সাঁকরাইলের একাধিক আসনে নতুন করে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখানকার পনেরোটি বুথে ফের ভোট গ্রহণ করা হবে। মানিকপুর এবং সারেঙ্গা পঞ্চায়েতের জন্যও ভোট গ্রহণ করা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই পঞ্চায়েত আসনগুলিতে ব্যালট লুটের অভিযোগ এবং প্রমাণ রয়েছে। এর পাশাপাশি সিঙ্গুর বেরাবেরি পঞ্চায়েত আসনে নির্বাচন হবে নতুন করে।
ব্যালট লুট, ব্যালট চিবিয়ে খাওয়া ছাড়াও একাধিক অসঙ্গতির কারণে এই আসনগুলোর ফলাফল গ্ৰাহ্য করা হচ্ছে না। আর সেজন্যই নতুন করে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই ভোট গ্রহণ কবে হবে, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে, হাওড়া জেলা ছাড়াও একাধিক জায়গায় যে নতুন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে সবকটি আসনেই একইদিনে ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
হাওড়া জেলার একাধিক জায়গায় তৃণমূলের ফ্লাইং টিমের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে। হাওড়া সদরের বালি, জগাছা, সাঁকরাইলের একাধিক জায়গায় এই দল অশান্তি ও লুট করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। প্রায় ছয় হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবী জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে কিন্তু কমিশন তাদের আবেদনে সায় দেয়নি বলেই অভিযোগ করা হয়।
No comments:
Post a Comment