মাকে খুন করে আত্মঘাতী ছেলে

 

মাকে খুন করে আত্মঘাতী ছেলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৩ জুলাই, নদিয়া : মাকে খুন করে আত্মঘাতী ছেলে। ঘটনাটি নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাটিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাগী গ্রামের।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ভগবতী দাস (৬৫) এবং জিতেন্দ্র দাস (৪৩)৷

 জানা যায়, সোমবার সকালে ভগবতী দেবীকে বাড়ির ভিতরে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।  একই সময়ে জিতেন্দ্রর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।  বাড়ির ভেতরে মা ও ছেলের অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়।  তারা এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মা ভগবতী দাসকে প্রথমে খুন করেন জিতেন্দ্র।  তারপর গলায় দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “বাড়িতে কোনও ঝামেলা হয়নি।  সবার সাথে কথা হয়েছে।  কিন্তু রাত বিকালে কি হল বুঝলাম না।  ভিতরে কি হয়েছে বলতে পারব না।"

 

 অন্যদিকে অন্য প্রতিবেশীরা জানায়, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না।  এ কারণে পরিবারটি বিপাকে পড়েছে।  সম্ভবত অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে পরিবার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

 পুলিশ বলছে যে ওই লোকেরা যখন বাড়িতে প্রবেশ করে, তারা দেখে যে ভগবতী দাস তার বাড়িতে প্রলাপিত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার ছেলের গলায় ফাঁস রয়েছে।  বাড়ির অবস্থা দেখে পুলিশও অবাক।

 পুলিশের প্রাথমিক ধারণা জিতেন্দ্র তার মা ভগবতী দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।

পুলিশ মোবাইল রেকর্ড চেক করছে

 পুলিশ বাড়ি থেকে অনেক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে এবং প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা জানার চেষ্টা চলছে।  ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মা ও ছেলের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।  এদিকে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।

 নিহতের পরিবারের বাকি সদস্যরা কারা তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  নিহতদের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যাতে মোবাইল ফোন নম্বরের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।

 শেষ পর্যন্ত কে কল করেছিল তাও দেখা হচ্ছে এবং ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাতে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা যায়।  যদিও সবকিছু এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।