'মণিপুর সহিংসতায় চীনের হাত', প্রাক্তন সেনাপ্রধান নারাভানের মন্তব্যে আলোড়ন
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : গত তিন মাস ধরে মণিপুরে সহিংসতা চলছে। প্রতিনিয়তই রাজ্যের কোনও না কোনও এলাকায় খুন, অগ্নিসংযোগ বা মহিলাদের শ্লীলতাহানির খবর সামনে আসছে। সংসদে, বিরোধীরা এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য দাবী করছে এবং সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে। এদিকে, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের একটি বক্তব্য সামনে এসেছে। তিনি বলেন যে, "মণিপুর সহিংসতায় বিদেশী সংস্থার জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রাজ্যে বিদ্রোহের পেছনে রয়েছে চীনা গোষ্ঠীগুলো।"
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নারাভানে বলেছেন যে, "দেশের সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই ধরনের অস্থিতিশীলতা সমগ্র দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।" মণিপুরের সহিংসতার পিছনে চীনা গোষ্ঠী থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে তিনি বলেন, "পুরো সহিংসতার পিছনে বিদেশী সংস্থার জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না, বরং আমি বলব যে চীন অবশ্যই এই সহিংসতার সাথে জড়িত"। এছাড়াও, জেনারেল নারাভানে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে চলমান সহিংসতায় মাদক চোরাচালানের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে মাদক চোরাচালান চলছে। গত কয়েক বছরে মাদকের পরিমাণও বেড়েছে।"
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নারভানে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সৈন্য নিয়োগের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, গালভান উপত্যকায় ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ। অগ্নিপথ স্কিমের বিষয়ে তিনি বলেন যে, "এই প্রকল্পটি কতটা সফল বা ব্যর্থ হয়েছিল তা কেবল সময়ই বলে দেবে।" তিনি বলেন যে, "অগ্নিপথ প্রকল্পটি অনেক আলোচনার পরেই চালু করা হয়েছিল।" অনেকে বলছেন, অর্থনৈতিক কারণে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এ প্রশ্নে তিনি বলেন, "সেনাবাহিনীতে আমাদের তরুণদের প্রয়োজন।"
বিরোধী জোট I.N.D.I.A-এর ২০ টিরও বেশি সংসদ সদস্য সহিংসতার পর্যালোচনা করতে ২৯ এবং ৩০ জুলাই মণিপুর রাজ্যে যাবেন৷ সাংসদরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। তথ্য অনুযায়ী, সব সাংসদ প্রথমে রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তারপর উপত্যকা পরিদর্শন করবেন। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ আরও অনেক দলের নেতারা ইতিমধ্যেই রাজ্য সফর করেছেন।
No comments:
Post a Comment