সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, হোটেলে ডেকে নেশা করিয়ে যুবককে লুটে চম্পট দিল যুবতী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 28 July 2023

সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, হোটেলে ডেকে নেশা করিয়ে যুবককে লুটে চম্পট দিল যুবতী

 


সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, হোটেলে ডেকে নেশা করিয়ে যুবককে লুটে চম্পট দিল যুবতী



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৮ জুলাই, কলকাতা : প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব কলকাতার নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে যুবককে ডেকে নেয় তরুণী।  মেয়েটি প্রথমে যুবককে মদ পান করায় এবং মদ পান করার পর যুবক অজ্ঞান হয়ে গেলে সমস্ত মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় মেয়েটি।  ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের যুবকের সঙ্গে।  নেশাগ্রস্ত হয়ে যুবকের সর্বস্ব লুটে নেয় মেয়েটি।  ভুক্তভোগী যুবক ইকো পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


 প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আসানসোলের এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়।  এই কথোপকথন ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হতে থাকে।  একই মাসে কলকাতায় আসানসোলের যুবকের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ওই তরুণী।


 মেয়েটি প্রথমে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে দেখা করার কথা বলে।  প্রথমে রাজি হন ওই যুবক, তারপর তরুণী তাকে নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে রুম বুক করতে বললে তিনি রাজি হন।


 এরপর চলতি মাসের ২৫ জুলাই একটি হোটেলে রুম বুক করেন ওই যুবক।  তারপর তিনি মেয়েটিকে নিউ টাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলের ঠিকানা ও রুম নম্বর পাঠিয়ে তার সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন।


 এদিকে মেয়েটি এক নারী বন্ধুকে নিয়ে হোটেলে পৌঁছালে ওই তরুণীকে সিগারেট কিনতে বলেন।  যুবক তার বান্ধবীকে নিয়ে সিগারেট কিনতে যায় এবং যুবকটি সিগারেট নিয়ে হোটেলের রুমে ফিরলে রুমে উপস্থিত বান্ধবী তাকে মদ খেতে বলেন।


 যুবক বলল যে সে মদ খায় না, কিন্তু মেয়েটি তাকে মদ খাওয়ার জন্য তাগাদা দিতে থাকে।  অবশেষে তরুণীর অনুরোধের সামনে মাথা নত করে মদ পান করেন ওই যুবক। মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই যুবক।



 পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন, তার সোনার চেইন, হাতের আংটি, ত্রিশ হাজার টাকাসহ সব জিনিসপত্র লুট হয়ে গেছে।  মেয়েটিও পলাতক।  এরপর ইকোপার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবক।


 পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হোটেল আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  পুলিশ বলছে, সিসিটিভির ভিত্তিতে মেয়েদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad