খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প খিচুড়ি
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৭ জুলাই: খিচুড়ি এমন একটি খাবার, যা প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই খাওয়া হয়। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি, এটি একটি সুপারফুডের মতো আমাদের স্বাস্থ্যেরও বিভিন্ন উপায়ে উপকার করে। এটি প্রস্তুত করতে কোনও সমস্যা নেই এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এর ফলে আমরা অনেক বড়ো রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি।
পুষ্টিগুণে ভরপুর -
খিচুড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি তৈরি করাও খুব সহজ। খিচুড়ি সাধারণতঃ ডাল এবং চাল দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে আপনি স্বাদ এবং পুষ্টির জন্য এতে শাক-সবজি এবং ঘি-ও যোগ করতে পারেন। খিচুড়ি হজম করা সহজ, তাই এটি খাওয়ার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়। খিচুড়িতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সহ সুষম ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের উপকার করে।
খিচুড়ি খাওয়ার উপকারিতা :
পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে -
খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা সহজে হজম হয়। অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে অন্ত্রের দেয়ালে জ্বালাপোড়া হয়, কিন্তু খিচুড়ি খেলে তা হয় না। এটি একটি হালকা খাবার, তাই এটি আমাদের উপকার করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক -
আয়ুর্বেদ অনুসারে খিচুড়ি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এটি শরীরে এনার্জির ভারসাম্য বজায় রাখে। খিচুড়ি ত্রিদোষনাশক নামে পরিচিত, কারণ এতে তিনটি দোষ, যেমন-বাত, পিত্ত, কফ-এর ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা রয়েছে।
শরীরকে ডিটক্স করে -
খিচুড়ি খাওয়া শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। আমাদের খাওয়া কিছু জিনিস শরীরের অন্দরে টক্সিন জমা করে। তাই শরীরকে ডিটক্স করতে খিচুড়ি খেতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী -
খিচুড়িতে ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে, খিচুড়ি খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা অনুভব করা যায়। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় খিচুড়ি রাখুন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে -
সাবুদানার খিচুড়ি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক। এটি শরীরে ইনসুলিন বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই এটি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment