প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৮ জুলাই : দিল্লী-এনসিআর সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই বছর, বিশেষ করে জুলাই মাসে চরম তাপ অনুভব নাও হতে পারে, তবে বিশ্বের অবস্থা খারাপ। এ কারণে এ বছরের জুলাই মাসটি এখন পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই মাস শেষ হতে এখনও ৪ দিন বাকি, তবে তার আগেই এটি ইতিমধ্যেই সবচেয়ে উষ্ণতম জুলাইয়ের খেতাব পেয়েছে। সারা বিশ্বে তাপ রেকর্ড ভেঙেছে। এ কারণে উত্তর আমেরিকা, চীন ও ইউরোপের মতো কম তাপযুক্ত অঞ্চলের অবস্থা খারাপ হয়েছে।
অনেক জায়গায়, তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে, তাই মানুষ হিট স্ট্রোকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলেছে এবং মানুষের অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছিল, কিন্তু এখন তা আমাদের চোখের সামনে চলে এসেছে। প্রকৃতিতে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন ঘটছে এবং এর ফলে এই ধরনের তাপ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ক্রিস হিউইট বলেন, "এই ভুল প্রবণতা উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা এড়ানো কঠিন হবে এবং আগামী বছরগুলোও একই প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়তে হবে।"
বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রাও দ্রুত বাড়ছে। এর ফলশ্রুতিতে শীতপ্রধান এলাকায়ও তাপপ্রবাহ চলছে। ক্রিস হিউইট বলেছেন যে এটি একটি শঙ্কা এবং আমাদের সচেতন হওয়া উচিৎ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রচেষ্টা শুরু করা উচিৎ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা বুঝতে হবে, অন্যথায় এটি সর্বনাশা দৃশ্যের সূচনা হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, এ ধরনের প্রচণ্ড গরম উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, এর প্রভাব পড়ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে আমেরিকার বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, আমেরিকা অবিলম্বে এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল প্রকাশ করেছে যাতে শহর ও শহরে গাছ লাগানো যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমেরিকা ও ইউরোপে হিট স্ট্রোক স্বাভাবিক নয়। এটি কোনও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া নয় কিন্তু অতিরিক্ত মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে প্রকৃতিতে এই পরিবর্তন ঘটেছে, যা আগামী দিনের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।
No comments:
Post a Comment