"আমাদের ছাড়া ইউএনএসসি কীভাবে বিশ্বের কণ্ঠস্বর হবে", প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদীর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জুলাই : বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে তিনি সেখানকার শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লেসইকোসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারে তাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা কি ঝুঁকির মুখে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিষয়টি শুধু বিশ্বাসযোগ্যতার নয়, এর চেয়ে অনেক বড়।" প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, "আমি বিশ্বাস করি যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তৈরি বহুপাক্ষিক শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশ্বের একটি সৎ আলোচনা করা দরকার।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রায় আট দশক পর বিশ্ব অনেক বদলে গেছে। সদস্য দেশের সংখ্যা বেড়েছে চার গুণ। বৈশ্বিক অর্থনীতির চরিত্র বদলে গেছে। আমরা নতুন প্রযুক্তির যুগে বাস করছি। নতুন শক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যার ফলে বৈশ্বিক ভারসাম্য পরিবর্তন হয়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, মহাকাশ নিরাপত্তা, মহামারী সহ নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি।"
জাতিসংঘ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এই পরিবর্তিত বিশ্বে অনেক প্রশ্ন জাগে। জাতিসংঘ কি আজকের বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করে? তিনি কি সেই ভূমিকা পালন করতে পারবেন যার জন্য তাকে ইনস্টল করা হয়েছিল? বিশ্বের দেশগুলি কি মনে করে যে এই সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ বা তারা প্রাসঙ্গিক?"
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে, "এটি অসঙ্গতির প্রতীক। আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার সমগ্র মহাদেশগুলিকে উপেক্ষা করা হলে আমরা কীভাবে এটিকে বৈশ্বিক সংস্থার একটি প্রাথমিক অংশ হিসাবে বিবেচনা করতে পারি? জাতিসংঘ কীভাবে বিশ্বের পক্ষে কথা বলার দাবী করতে পারে যখন তার সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং এর বৃহত্তম গণতন্ত্র স্থায়ী সদস্য নয়? এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটি অসহায় বলে মনে হয়।"
ফ্রান্সের অবস্থানের প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন, “আমি মনে করি বেশিরভাগ দেশই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কী পরিবর্তন দেখতে চায় সে সম্পর্কে স্পষ্ট। এতে ভারতের ভূমিকাও রয়েছে। আমাদের শুধু তার কণ্ঠ শুনতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে। আমি অবশ্যই এই বিষয়ে ফ্রান্সের গৃহীত স্পষ্ট এবং ধারাবাহিক অবস্থানের প্রশংসা করব।"
No comments:
Post a Comment