কুলগামে নিখোঁজ সেনা জওয়ান! রক্তের দাগ-স্যান্ডল মেলায় উদ্বেগ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 30 July 2023

কুলগামে নিখোঁজ সেনা জওয়ান! রক্তের দাগ-স্যান্ডল মেলায় উদ্বেগ

 


কুলগামে নিখোঁজ সেনা জওয়ান! রক্তের দাগ-স্যান্ডল মেলায় উদ্বেগ 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ জুলাই: নিখোঁজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান। তাঁর পোস্টিং ছিল লেহে। তিনি ছুটি কাটাতে বাড়ি গিয়েছিলেন। শনিবার রাত ৮টার পর থেকে তাঁর সম্পর্কে কিছুই জানা যাচ্ছে না। বাজারে গিয়েছিলেন মুদি দোকানের জিনিস আনতে। ২৫ বছর বয়সী ওই সেনা জওয়ান জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জওয়ানের বাড়ি এবং বাজারের মধ্যে একটি ছোট পথের কথা বলা হয়েছে। সম্ভাবনা রয়েছে, ওই জওয়ান একই পথ দিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন।



ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুসারে, অষ্টল হয়ে চৌলগামের একটি ছোট পথ রয়েছে যা ঘন বাগানে ঘেরা এবং তারা অষ্টল থেকে চৌলগাম পর্যন্ত তিনি একই পথ ব্যবহার করেছেন। ওই জওয়ানের নাম জাভেদ আহমেদ ওয়ানি। ভারতীয় সেনা ও পুলিশের দল জওয়ানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। কুলগামের পথে এবং আশেপাশের এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে, যেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




জাভেদ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি মুদি দোকানের জিনিস আনতে চৌলগাম গিয়েছিলেন। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজার চেষ্টা করে। এ সময় পথে জওয়ানের স্যান্ডেল ও কিছু রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পার্নহল এলাকায় জওয়ানের গাড়ি পাওয়া গেছে। গাড়ির তালা খোলা ছিল। পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরিবারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দাবী করেছে যে, জাভেদ আহমেদ ওয়ানিকে কুলগাম জেলায় তাঁর গাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও অপহরণের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।



উল্লেখ্য, গত বছর পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা সমীর আহমেদ মাল্লা নামে এক সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে খুন করে। জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম জেলার একটি বাগানে জওয়ানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। লস্কর বন্দী থাকাকালীন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেনা জওয়ান। শেষ কলটা করেন মাকে। মামলার তদন্তে দেখা গেছে, আতহার এলাহী শেখ নামে এক ব্যক্তি ফোনে সমীরকে ফোন করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে দেহ উদ্ধার করা হয়। আতহার সম্পর্কে জানা গেছে, লস্করের হয়ে কাজ করত সে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad