ত্বক ও চুলে পরিপূর্ণ পুষ্টি দেয় চা পাতা
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২০ জুলাই: আমরা সবাই চা বানাতে চা পাতা ব্যবহার করি, তারপর ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে দেই। তবে চা পাতার ব্যবহার শুধু চা বানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যারও চিকিৎসা করতে পারে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে চা পাতাও একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ, যা অনেক ধরণের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। চা বানানোর পর ব্যবহৃত চা পাতা এবং তাজা চা পাতা, দুটোই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বক ও চুলে পরিপূর্ণ পুষ্টি দেয়।
আসুন জেনে নিই চা পাতার উপকারিতাগুলো -
চোখে ব্যথা বা ফোলাভাব থাকলে চা বানানোর পর ব্যবহৃত চা পাতা ঠান্ডা করে কিছুক্ষণ চোখে লাগিয়ে রাখুন। চায়ে ক্যাফেইন থাকে যা ব্যথা এবং প্রদাহ উভয়ই উপশম করে।
চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে ১ চামচ তাজা চা পাতা জলে ভিজিয়ে পেস্টের মতো ডার্ক সার্কেলের ওপর লাগান এবং শুকাতে দিন। এভাবে কয়েকদিন করলেই ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে।
সাদা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেহেন্দিতে তাজা চা পাতা সেদ্ধ জল মিশিয়ে চুলে লাগান। এর সাহায্যে চুল অচিরেই প্রাকৃতিক উপায়ে কালো ও ঘন হবে।
ত্বক পুড়ে গেলে চা বানানোর পর অবশিষ্ট চা পাতা ঠান্ডা করে ত্বকে লাগালে জ্বালাপোড়া কমে যায় এবং ত্বকে ফোসকা পড়ে না।
চা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ১ গ্লাস জলে ১ চামচ চা পাতা মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে জল ছেঁকে মুখ ও হাত ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের সৌন্দর্য বাড়ায় এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, সেই সঙ্গে ব্রণ ও ফুসকুড়ি থেকেও দ্রুত মুক্তি দেয়়।
মাথাব্যথা হলে ১ চামচ চা পাতা জলের সাথে মিশিয়ে চা বানিয়ে পান করলে মাথা ব্যথার দ্রুত উপশম হয়। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ব্যথা উপশম করে।
আঘাতের কারণে ফুলে গেলে, ২ চামচ চা পাতা জলে ফুটিয়ে জল হালকা ঠান্ডা করে ফোলাতে সেঁক লাগান। এতে শীঘ্রই ফোলাভাব কমে যাবে এবং ব্যথা উপশম হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment