ফুলের পরাগে অ্যালার্জি? জেনে নিন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৬ জুলাই: আমাদের চারিদিকে ফুটে থাকা রঙিন ফুলের সৌন্দর্য আমাদের বিমোহিত করে, কিন্তু তাদের পরাগ কণা থেকে হওয়া অ্যালার্জি কিছু মানুষকে বিব্রত করে। আসুন জেনে নেই এর থেকে বাঁচতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
কেন এই সমস্যা হয় -
রঙিন মরসুমী ফুলের সুগন্ধ সাধারণত খুব সুন্দর হয়, কিন্তু এটি কিছু মানুষের জন্য অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করে। ফুলে খুব সূক্ষ্ম পাউডারের মতো উপাদান থাকে, যাকে পরাগ বা পরাগকণা বলা হয়। যা ফুল বা যেকোনও ধরনের গাছপালা নিষিক্ত করতে কাজ করে। এই কারণে গাছ-গাছালির ফুল ও ফলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। প্রজাপতি, মৌমাছি বা ভ্রমর, যখন একটি ফুলের উপর বসার পরে অন্য ফুলে চলে যায়, তখন তাদের পায়ের সাথে সংযুক্ত প্যারানয়েড কণা একই প্রজাতির আরেকটি ফুলকে নিষিক্ত করার কাজ করে। এই পরাগগুলি এতই ক্ষুদ্র যে তারা বাতাসে ভেসে থাকে এবং শ্বাসের সাথে সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়। যেহেতু কণাগুলি বাহ্যিক উপাদান, তাই ব্যক্তির শরীর তাদের গ্রহণ করে না এবং ইমিউন সিস্টেম তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সজাগ হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ, শরীরে অবিলম্বে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
মূল লক্ষণ -
প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে পরাগ অ্যালার্জি হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হলো - ঘন ঘন হাঁচি, গলা ব্যথা, সর্দি, জ্বালা ধরা ও জলপূর্ণ চোখ, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর।
এই অ্যালার্জির সঙ্গে যুক্ত জ্বরকে 'হে ফিভার' বলা হয়। যাদের আগে থেকেই হাঁপানির সমস্যা আছে, পরাগ অ্যালার্জির কারণে তাদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে, শ্বাসনালি সরু হতে শুরু করে এবং এর ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এই সমস্যাটিকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিসও বলা হয়।
কিভাবে রক্ষা পেতে পারেন -
বাইরে যাওয়ার সময় এন-৯৫ মাস্ক এবং সানগ্লাস পরুন।
ঘরে কারুর অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে দিনের বেলা জানালা বন্ধ রাখুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে খাদ্যতালিকায় প্রোটিন এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ জিনিস, যেমন- ডাল, অঙ্কুরিত শস্য, সয়াবিন, ডিম, মুরগির মাংস এবং কমলার মতো সাইট্রাস ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।
কারুর যদি আগে থেকেই অ্যাজমার সমস্যা থাকে, তাহলে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে তাদের হাঁটতে বের হওয়া উচিৎ নয়।
হাঁপানি রোগীদের নিজের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ এবং সঠিক সময়ে সব ওষুধ খাওয়া উচিৎ।
সাধারণতঃ ওষুধ দিয়ে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবুও চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। তাই অ্যালার্জি থেকে নিজেকে যথাসম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করুন।
No comments:
Post a Comment