জেনে নিন চা পান করা নিয়ে বিশেষজ্ঞের টিপস
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৬ জুলাই: চা প্রায় সব দেশেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দিনে অন্তত দুই কাপ চা পান করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। চায়ের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক যুক্তি ও বিশ্বাস। স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে কেউ কেউ চা থেকে দূরেও থাকতে বলেন। অন্যদিকে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, চা আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এসবের মাঝে একটি তৃতীয় শ্রেণীও আছে, যারা ক্যাফেইনকে মাথাব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে বিবেচনা করেন। চা নিয়ে সংশয় কাটাতে বিশেষজ্ঞ লুক কৌটিনহো কিছু টিপস দিয়েছেন। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কি কি।
চা পাতা -
সবসময় ভালো মানের চা পাতা ব্যবহার করুন। এটি বাজারে অনেক দামে পাওয়া যায়। তবে ভালো মানের চা পাতার স্বাদ আরও ভালো এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ল্যাকটোজ সংবেদনশীলতা -
যদি দুধের কারণে পেট ফাঁপা হয় বা ল্যাকটোজ থেকে অ্যালার্জি হয়, তাহলে প্যাকেটজাত দুধের চেয়ে প্রাকৃতিক দুধ বেছে নিতে পারেন। যদি তাও সাহায্য না করে, তবে দুধ থেকে দূরে থাকুন এবং কালো চা পান করুন।
কৃত্রিম মিষ্টি -
চায়ে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার না করে স্টেভিয়া অর্থাৎ মিষ্টি তুলসী বা প্রাকৃতিক গুড় ব্যবহার করুন। নাহলে মিষ্টি ছাড়াই পান করুন।
মশলা এবং ভেষজ -
চায়ের স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্য বাড়াতে লবঙ্গ, এলাচ, আদা, দারুচিনি, তুলসী বা জাফরান যোগ করুন।
সময় -
খালি পেটে চা পান করা উচিৎ নয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি পান করাও ভালো নয়।
ক্যাফেইন -
চায়ে উপস্থিত ক্যাফেইন যদি আমাদের আরও অ্যাসিডিক করে তোলে বা আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে তা বাদ দেওয়াই ভালো। আমরা তুলসী চা পান করতে পারি যাতে ক্যাফেইন থাকে না।
অন্যান্য টিপস -
আমরা নিরাপদে প্রতিদিন দুই কাপ চা পান করতে পারি যদি না ডাক্তার অন্যকিছু পরামর্শ দেন। কিন্তু আপনি যদি দিনে পাঁচ বা তার বেশি কাপ চা পান করার অভ্যাস করে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে অভ্যাস থেকে সরে আসার চেষ্টা করুন। মধু দিয়ে চা ফোটাবেন না বা পান করবেন না। যদি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা না থাকে, তাহলে এক চা চামচ চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব বেশি চিনি খাবেন না।
No comments:
Post a Comment