মালদার পর এখন মুর্শিদাবাদ! মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, প্রতিবাদ করায় কংগ্রেস কর্মীকে মার
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৪ জুলাই, মুর্শিদাবাদ : প্রথমে মণিপুর, তারপর মালদা। মালদায় চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা এখনও ঠাণ্ডা হয়নি। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। বরানিয়া থানা এলাকায় এ ঘটনার জেরে আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই নারীকে রক্ষা করতে আসা যুবককেও লাঞ্ছিত করা হয়। তিনি অনেক জখম হয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, রবিবার দুপুরে গুণ্ডারা ওই মহিলার জামাকাপড় খুলে দেয় এবং তাকে মারধর শুরু করে। তখনই এক যুবক এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। এরপর তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে বরানিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে চাইছে না। তাদের দাবী, এই ঘটনা সম্পূর্ণ পারিবারিক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা বা দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
আক্রান্ত যুবক গোলাম শেখ জানান, তিনি সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনের সময় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “এক মহিলাকে উলঙ্গ করে মারধর করা হচ্ছিল। আমি প্রতিবাদ করলে তাকে আরও নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়।”
তিনি বলেন, “আমি আজকে এটা করি। তাকে মারধর করতে দেখে আমি প্রতিবাদ করি। তখন আরও কয়েকজন এগিয়ে আসেন। আমরা সেই মহিলাকেও বাঁচিয়েছি। তাকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির এক নেতা উঠে দাঁড়াল এবং তার পরিবারের কিছু সদস্য এসে আমাকে বাজেভাবে মারধর করে।"
ক্ষতিগ্রস্ত যুবকের দাবী, তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দলের হয়ে কাজ করেছেন। নির্দল প্রার্থীর পরাজয়ের পর শনিবার বহরমপুরে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। তাই তাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গোলাম বলেন, "তৃণমূল জিতলে আমাদের ওপর হামলা হয়।"
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক নেতা মাহে আলম বলেন, “কংগ্রেস নির্বাচনের পর থেকেই এখানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এলাকার মানুষের সহানুভূতি পেতে ধর্নায় বসেন অধীর চৌধুরীও।" বিষয়টি তারাও খতিয়ে দেখেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, "এটা পারিবারিক ব্যাপার। কাউকে হুমকি বা মারধর করার প্রশ্নই আসে না।"
No comments:
Post a Comment