বিজেপিতে বড় রদবদল! দলীয় পদ হারালেন দিলীপ ঘোষ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 29 July 2023

বিজেপিতে বড় রদবদল! দলীয় পদ হারালেন দিলীপ ঘোষ


 বিজেপিতে বড় রদবদল! দলীয় পদ হারালেন দিলীপ ঘোষ



নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৯ জুলাই, কলকাতা : ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংগঠনে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে।  দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  দিলীপ ঘোষ বাংলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন।  দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছিল।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে, তিনি একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে নিজের চিহ্ন তৈরি করেছিলেন।


 লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলার রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখেন দিলীপ ঘোষ।  দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।  এ বার কেন্দ্রীয় সংগঠনে রদবদল করে তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলে দিলীপ ঘোষের নাম বাদ পড়া নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।


 

 এদিকে দিল্লীর রাজনীতিতে মন্ত্রিসভা রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পান কি না সেটাই এখন দেখার।


 এদিকে সূত্রের খবর, আগামী দিনে যাকে লোকসভায় প্রার্থী করবে বিজেপি।  তাদের কেন্দ্রীয় সংগঠনে রাখা হবে না।  কারণ কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতাদের সারাদেশে কাজ করতে হবে।  লোকসভার প্রার্থীদের তাদের লোকসভা কেন্দ্র এবং দলীয় কাজে সময় দিতে হবে।



দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় কমিটিতে বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে শুধু অনুপম হাজরাকে রাখা হয়েছে।  আগের মতোই তিনি সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন।  উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলার প্রাক্তন সুপারভাইজার কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবারও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হবেন।  বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের আটটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নাম রয়েছে।


 নতুন কমিটিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া।  এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব দলের রাজ্য নেতৃত্ব।  তাঁর সমর্থকদের দাবী, রাজ্য বিজেপিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত ফলাফলের নিরিখে দিলীপ ঘোষই এখন পর্যন্ত সেরা রাজ্য সভাপতি৷  তাঁর শাসনামলে দলের বিধায়কের সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে ৭৭ হয়েছে।


 

 অন্যদিকে, বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, বারবার তাকে আটকানোর চেষ্টা করেও দিলীপ ঘোষ তার বক্তব্য থেকে বিরত হচ্ছেন না।  এ কারণে তাকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  বিজেপি শিবির বলছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল।  তার কাজ ও বক্তব্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।  সেই কারণেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


 তবে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী টানা দুই মেয়াদে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর তাকে অপসারণ করা হয়।  তাঁর জায়গায় আসেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।  

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad