হাসপাতালে নেই ডাক্তার, ডেলিভারি করিয়েছে নার্স! নবজাতকের মৃত্যুতে বিক্ষোভ স্বজনদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, ২৮ জুলাই, পূর্ব মেদিনীপুর : প্রসবের পর মৃত্যু নবজাতকের। অভিযোগ, হাসপাতালে নেই কোনও চিকিৎসক। এই কারণে, ডেলিভারিটি একজন ডাক্তার দ্বারা নয়, একজন নার্স দ্বারা করা হয়েছিল। হাসপাতালের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করছেন স্বজনরা। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর স্বজনরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছে।
তিনি দাবী করেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা যে ঠিক নয় তা প্রসবের আগেই চিকিৎসকরা বুঝে ফেলেছিলেন। হাসপাতাল প্রশাসনের দাবী, নবজাতকের হার্টে সমস্যা ছিল। এতে পাঁশকুড়া হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
নন্দিতা মান্না পাঁশকুড়া ব্লকের চৈতন্যপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নরবেদীচক এলাকার বাসিন্দা। প্রসব ব্যথা নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাতে শিশুটির জন্ম হয়। রাত ৮টায় তাকে ডেলিভারি করা হয়। ওই সময় চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবী নন্দিতার স্বামীর।
পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, নন্দিতা মান্না নামে এক মহিলার সন্তানের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। পরিবারকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবী করা হয়েছে।
আধিকারিকরা দাবী করেছেন যে প্রসবের পর নবজাতকের হৃদস্পন্দন কম ছিল। চিকিৎসকরা এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি বলেও দাবী করা হচ্ছে।
মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা কান্নাকাটি করলেও পরে তারা আওয়াজ তুলে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও হাসপাতালের গাফিলতির কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।
এর আগেও রাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক না থাকায় নার্স ও মিডওয়াইফদের সহায়তায় হাসপাতাল চলে।
তিনি বলেন, "জেলা হাসপাতালগুলোর অবস্থাও কিছুটা ভালো, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মৌলিক সুবিধার সম্পূর্ণ অভাব রয়েছে।" এখন নবজাতকের মৃত্যু বাংলার সরকারি হাসপাতালগুলোকে উন্মোচিত করেছে।
No comments:
Post a Comment