'বন্দে মাতরম' নিয়ে আবু আজমির বিতর্কিত বক্তব্যে তোলপাড় সমাবেশে

 

'বন্দে মাতরম' নিয়ে আবু আজমির বিতর্কিত বক্তব্যে তোলপাড় সমাবেশে 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ জুলাই : সমাজবাদী পার্টির (এসপি) বিধায়ক আবু আজমির একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় হৈচৈ হয়েছে।  আসলে, আবু আজমি বলেন যে, "তার ধর্ম তাকে কারও সামনে মাথা নত করার অনুমতি দেয় না।  তাই আমরা বন্দে মাতরম বলতে পারি না।"  তিনি বলেন, "আমরা আমাদের মায়ের সামনেও মাথা নত করি না, আমরা কেবল আল্লাহর সামনে মাথা নত করি।" আবু আজমির বিবৃতিতে, এনসিপি বিধায়ক রোহিত পাওয়ার বলেছেন, "কে কোন ধর্মের তা বিবেচ্য নয়, প্রত্যেকের উচিৎ তাদের দেশকে সম্মান করা এবং ভালবাসা।  দেশের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না।"

 আবু আজমির সম্পূর্ণ বক্তব্য

 আবু আজমি বলেন, "আফতাব পুনাওয়ালার (শ্রদ্ধা মামলার অভিযুক্ত) নামে মুসলমানদের মানহানি করা হয়েছে।  ঔরঙ্গাবাদের রাম মন্দিরের বাইরের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে একটি স্লোগান উঠেছে যে ভারতে থাকতে হলে বন্দে মাতরম বলতে হবে।  এতে পরিবেশ নষ্ট হয়।  পুলিশ দুই গ্রুপকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।  ১৫-২০ জন সেখানে আসেন।  পরে উভয়পক্ষের লোকজন সেখানে এসে স্লোগান ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে।

 আবু আজমি বলেন, "পুলিশের ভাষ্যমতে দুই পক্ষের আড়াইশ’-আড়াইশ’ লোক উপস্থিত ছিল।  তাই একই ধর্মের লোকদের কেন গ্রেফতার করা হল আমার প্রশ্ন।" আবু আজমি জানান, মুনিরুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তার বাড়ির প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন, তখন পুলিশ সেখানে গুলি চালায়।  সেখানে এক ব্যক্তি তার পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।  পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, "আমি নিচু হয়ে গুলি করেছি।"  আবু আজমী সংসদে বলেন, "এই পুলিশ আধিকারিক মিথ্যা বলছেন।"

আসলে, আবু আজমি বলেন যে তার ধর্ম তাকে কারও সামনে মাথা নত করার অনুমতি দেয় না। তিনি বলেন,  "তাই আমরা বন্দে মাতরম বলতে পারি না।"  তিনি বলেন, "আমরা আমাদের মায়ের সামনেও মাথা নত করি না, আমরা কেবল আল্লাহর সামনে মাথা নত করি।"

 আবু আজমির বক্তব্যের পর বিধানসভায় তোলপাড় শুরু হয় এবং বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে আসেন। ১০ মিনিটের জন্য সংসদের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।  বিজেপি নেতা আশিস শেলার বলেছেন যে, "আবু আজমি সংসদে যা বলেছেন আমরা তার বিরোধিতা ও নিন্দা করছি।  বন্দে মাতরম জাতীয় সঙ্গীত এবং আমরা এমন একজনকে চাই না যে এই হাউসে এটিকে অসম্মান করে।" তিনি বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করেন যে আবু আজমির বক্তব্য রেকর্ডের বাইরে নেওয়া হোক।