মণিপুর কাণ্ডের ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার! রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে মেইতিরা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 23 July 2023

মণিপুর কাণ্ডের ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার! রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে মেইতিরা



মণিপুর কাণ্ডের ষষ্ঠ অভিযুক্ত গ্রেফতার! রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে মেইতিরা



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ জুলাই : মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  এখনও অবধি একজন নাবালক সহ ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ভাইরাল ভিডিওতে দুইজন নারীকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে, পুলিশ তাকেও ধরেছে।  অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে রাজ্যজুড়ে একাধিক পুলিশ দল মোতায়েন করা হয়েছে।  সহিংসতার ভয়ে মিজোরাম থেকে পালাচ্ছে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ।



 গত ৪ মে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মেইতি সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ দুই কুকি নারীকে নগ্ন করে হাঁটাচ্ছে।  তাদের শোষণ, হয়রানি করছে।  ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ।  অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি দাবী করা হচ্ছে।  এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া চার অভিযুক্তকে ১১ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।


 

 ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা প্রাক্তন সেনার স্ত্রী।  তিনি কার্গিল যুদ্ধে আসাম রেজিমেন্টের অংশ ছিলেন।  সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন যে তিনি কার্গিলে দেশকে বাঁচিয়েছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি।  ২১ জুন সাইকুল থানায় একটি এফআই মামলা দায়ের করা হয়।  অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি তার বোনকে জনতার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও খুন করা হয়।  উত্তেজিত জনতা ওই নারীকে গণধর্ষণ করে।



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের বর্ষা অধিবেশনের প্রথম দিনে ওই ভাইরাল ভিডিওর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।  বলা হয়েছে, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।  এটা দেশকে বিব্রত করেছে।  একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড বিবেচনা করার জন্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন করেন।  প্রধানমন্ত্রী মোদী তার বিবৃতিতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের কথাও উল্লেখ করেছেন।  এ বিষয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, "ঘটনাটি যদি মণিপুরে হত, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কী বলতেন, তা জানি না।" তিনি বলেন, "মণিপুর আমাদের রাজ্য, প্রধানমন্ত্রীর সেখানে যাওয়া উচিৎ।"



 ফের হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে।  এখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলাগুলি হয়।  এর পর এলাকায় ভারী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।  অন্যদিকে মণিপুরের প্রায় সব জেলাতেই অবরোধ করা হয়েছে।  পাহাড় ও উপত্যকায় ১২৫টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।  নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad