২৫-এর জায়গায় ৩০ যেতেই চটে লাল! কনে‌ পক্ষকে বেধড়ক মার বর পক্ষের

 ২৫-এর জায়গায় ৩০ যেতেই চটে লাল! কনে‌ পক্ষকে বেধড়ক মার বর পক্ষের

নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ১৭ জুলাই: বিয়েতে মেয়ে পক্ষ কেন বেশি লোক এসেছে? এ নিয়ে বর ও কনের পক্ষের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয় এবং কনে পক্ষকে বেধড়ক পেটায় বর পক্ষের লোকজন, এমনই অভিযোগ। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। ঘটনা বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের সদাইপুরের। বর সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, গুরুতর আহত পাঁচজনকে সিউরি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কনের বাড়ি বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের সিমুলিয়া গ্রামে। গতকাল ছিল শেখ রসিদের মেয়ে ও কালো শেখের ছেলের বিয়ে। বরের পক্ষ থেকে ৬০ জন লোক বরযাত্রী এলেও বিয়ের পর বর বাড়ি ফিরে বলেন, মেয়ের বাড়ির কেউ বরের বাড়িতে আসবে না। পরে উভয় পক্ষের কথোপকথনে মেয়ে পক্ষ থেকে ২৫ জন বরের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ২৫ জনের পরিবর্তে বরের বাড়িতে পৌঁছায় ৩০ জন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

কনে পক্ষ থেকে আসা লোকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় অনেককে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেয়ের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ বিয়ের দিনই বর সহ বরের পক্ষের চার জনকে গ্রেফতার করেছে।

উল্লেখ্য, সদাইপুর থানার গুনসিমা গ্রামের শেখ আতিকুলের বিয়ে হয় দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্রামের সূরেয়া খাতুনের সঙ্গে মুসলিম রীতি অনুযায়ী।

রবিবার কন্যাপক্ষের শিমুলডিহির ৩০ জন লোক বৌভাত খেতে গুনসিমা গ্রামে গিয়েছিলেন। বরের দাবী, ৫০ জনের বেশি লোক আসায় খাবারের ঘাটতি রয়েছে। কনের ভাই আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “হঠাৎ করে বর লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। ওই ব্যক্তিদের মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করে। ঘুষি মেরে লাথি মারতে থাকে। আকিলা বিবি, মনিরা বিবি ও শামসুর্নিহার বিবির শাড়ি ছেঁড়ার চেষ্টা করে।

এতে কনেও আহত হয়। তাকে এবং কনের পরিবারকে দুবরাজপুরের হাসপাতালে ভর্তি এবং পরে সিউরিকে সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

অন্যদিকে দুবরাজপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে বর শেখ আতিকুল, তার বাবা শেখ কালো, শেখ শাকির ও শেখ বাদশাকে গ্ৰেফতার করা হয়। বাকি পাঁচ অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।