ছেলের লাথিতে মায়ের মৃত্যু!
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ০৩ জুলাই: মাকে খুনের অভিযোগ উঠল গুণধর ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নেশাগ্ৰস্ত ছেলের লাথিতেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে চরম অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙ্কুবাজার এলাকায়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। মৃত মহিলার নাম ভাদো ওরাওঁ, বয়স ৬২ বছর। পাশাপাশি এদিন বাবার ওপরেও চড়াও হয় ছেলে, যদিও বরাত জোরে তিনি বেঁচে যান। অভিযুক্ত ছেলেকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
ধূপগুড়ি থানায় ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাবা। অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রসেনজিৎ ওরাওঁ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রসেনজিৎ ওরাওঁ সকালেও তার মাকে আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। মা, স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করায়। এদিন রাতে ছেলেকে খেতে ডাকলে ছেলে ফের মায়ের ওপর চড়াও হয়, তাঁর বুকে ক্রমাগত লাথি মারতে থাকে বলে অভিযোগ। বাবা বন্ধন ওরাওঁ বাঁচাতে এলে তাঁরও গলা চেপে ধরে বলে অভিযোগ। ছেলের জোর লাথিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ছেলে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এসে ভাদোকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত ছেলেকে আটকে করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ছেলের বাবা বন্ধন ওরাওঁ জানিয়েছেন, ছেলে নেশা করে প্রায়শই মারধর করে। তবে আজ কি কারণে এমন কাণ্ড ঘটাল, তাঁর জানা নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিৎ কোনও কাজকর্ম করতেন না। রাতদিন গাঁজার নেশায় ডুবে থাকতেন। সংসারে প্রায় দিনই অশান্তি হতো, মা-বাবাকেও মাঝেমধ্যে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ধূপগুড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে তার মায়ের দেহ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment