নির্বাচনী শত্রুতার জের! মহিলা কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩০ জুলাই, মুর্শিদাবাদ : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে এক মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মহিলা কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, ৬৫ বছর বয়সী খাতুন বেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ডোমকল থানার ১০ নম্বর ঘোড়ামারা এলাকার হারুরপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খাতুন বেওয়া দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস কর্মী। শনিবার তৃণমূলের কিছু কর্মীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর মারামারি হয়। খাতুন বেওয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু মেডিক্যালে নেওয়ার পথে খাতুন বেওয়া মারা যান।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি হাজিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। আমরা কেউ তাদের সাথে যুক্ত নই।" নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নির্বাচনী শত্রুতার জের ধরে খাতুন বেওয়াকে খুন করা হয়েছে।
নির্বাচনের পরেও রাজ্যে সহিংস ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক সমর্থক ও এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থক নিহত হয়েছেন। এবার ফের খুন হলেন কংগ্রেসের এক মহিলা সমর্থক।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ আগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরও সহিংসতা কমছে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া যথাযথ তারিখের মধ্যে শেষ করা উচিৎ। এই নির্দেশ জারি হওয়ার পর রাজ্যে দলত্যাগের খেলাও শুরু হয়েছে।
রাজ্যের বহু মহলে অভিযোগ উঠছে, বিরোধী দলের নির্বাচিত সদস্যদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের সদস্যদের টার্গেট করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment