মাদকের আড্ডা, ছাত্রীদের হাজারো অশালীন ভিডিও! সামনে এল পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোংরা সত্য
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৮ জুলাই : সেক্স পার্টি, ফোনে নোংরা ভিডিও, মাদক বিক্রি, ব্ল্যাকমেল করে যৌন হয়রানি, এই গল্প কোনও অপরাধী গোষ্ঠীর নয়, পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। পাকিস্তানের ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি বাহাওয়ালপুর সম্প্রতি পুলিশের একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশের পর স্ক্যানারে এসেছে। এখানে এই গোটা কেলেঙ্কারিতে ছাত্র থেকে শিক্ষক পর্যন্ত জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্যাপারটা কি
পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সামগ্রী ও যৌন নিপীড়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের সময়, ধৃত অফিসারদের ফোন থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর ক্লু পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অনেক পর্নোগ্রাফিক ভিডিও। একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদকের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ব্ল্যাকমেইলিং ও যৌন নিপীড়নেও জড়িত ছিল।
একটি প্রতিবেদনে আরও দাবী করা হয়েছে যে কোষাধ্যক্ষ স্বীকার করেছেন যে তিনি আরও একদল শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করতেন। এছাড়াও, তাদের সহায়তায় নাচ এবং যৌন পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশের দাবী, একদল শিক্ষক মেয়েদের ব্ল্যাকমেল করে মাদক সেবন করে ফাঁসাতেন। বলা হচ্ছে, অভিযুক্তদের নজর ছিল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মেয়েদের দিকে।
ধৃত কোষাধ্যক্ষের কাছ থেকে ১০ গ্রাম চরসও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তার ফোনে অনেক অশ্লীল ভিডিও ছিল। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আধিকারিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আইজাজ হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে চলছে গোরক্ষধাঁধা।
পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন বিষয়টি সামনে আসার সাথে সাথে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তিনজন উপাচার্য ও নিরাপত্তা সংস্থার আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আতহার মেহবুব আইজি পুলিশ ড. উসমান আনোয়ারকে চিঠি দিয়ে গ্রেপ্তারের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবী করেছেন। পাশাপাশি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ভুয়ো বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment