'গণতন্ত্রের শ্মশানযাত্রা'! পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 1 July 2023

'গণতন্ত্রের শ্মশানযাত্রা'! পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির


'গণতন্ত্রের শ্মশানযাত্রা'! পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির 




নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, ০১ জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির। বালুরঘাটে জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে বের করা হল গণতন্ত্রের শ্মশানযাত্রা। বিজেপি‌ বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী এই শবযাত্রার নেতৃত্ব দেন। বিজেপির শহর মণ্ডল কমিটির ডাকে, গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম কামনা করে শনিবার এই শ্মশানযাত্রার আয়োজন করা হয়। 'জোক অফ দ্য সেঞ্চুরি', কটাক্ষ তৃণমূলের। 


বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী নিজে কাঁধে তুলে নেন গণতন্ত্র-রূপি শবদেহকে। একেবারে খোল-করতাল বাজিয়ে বিজেপি বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী সহ চার বিজেপি কর্মী গণতন্ত্রের শব শ্মশানে নিয়ে যান। মৃত গণতন্ত্রের শব দাহ করা হয় বালুরঘাট খিদিরপুর শ্মশানে। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা।


বিধায়ক জানিয়েছেন, এই রাজ্যে গণতন্ত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। তবে গণতন্ত্রের পুনঃজন্ম হবে। তিনি বলেন, "বার্তা একটাই। গণতন্ত্র আমাদের খুব প্রিয় জিনিস। গণতন্ত্রের রক্ষা খুব যত্ন করে করা উচিৎ এবং এই গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা বহুদিন ধরে হচ্ছে তৃণমূলের। হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল তাতেও এরা বিলম্ব করছে। আমরা ধারণা, সম্প্রতি এই ঘটনা থেকে মনে হয় গণতন্ত্রের প্রাণ গেছে।" 


তিনি এও বলেন, "তার মানে এই নয় যে, গণতন্ত্রের আবার জন্ম হবে না।‌ আমরা সৎকার করছি, যাতে গণতন্ত্র আবার জন্ম নেয়। পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, বিবেকানন্দের প্রদেশ, এখানে গণতন্ত্র হবেই। আর গণতন্ত্রের জয় হবে। আমরা গণতন্ত্রের অকাল মৃত্যুর সৎকার করতে এসেছি।"


অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, "বিজেপি যদি বলে গণতন্ত্রের হত্যা, তাহলে এটা পৃথিবীর জোক অফ দ্য সেঞ্চুরি হতে হবে। কারণ সারা ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে দেখলে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, ক্ষমতায় এসে বিজেপি প্রথম যে কাজটা করেছে, তা হল বিভিন্ন গণতন্ত্রের মুখকে হত্যা করেছে।"


তৃণমূল নেত্রী বলেন, "ওরা গণতন্ত্র নিয়ে কী করল, সেটাতে আমি বিন্দুমাত্র আগ্রহী নই। মানুষ সবটা দেখছে। আর বিজেপির যিনি বিধায়ক আছেন তাকে তো এখানকার মানুষ চেনেনই না। হঠাৎ একজন অচেনা মানুষের সে গণতন্ত্রের গল্প বললে মানুষ শুনবে, এটাও খুব হাস্যকর। এখানকার বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ক দু'জনই মানুষের কাছে অধরা। বালুরঘাটের মানুষের জন্য এটা সত্যিই খুব বড় সমস্যা বলে আমার মনে হয়। আর কারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে, সেটাও মানুষ দেখছেন। আমার বিশ্বাস মানুষ নিজেদের বিবেচনা মতোই ভোটটা দেবেন।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad